হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পরে তাকেসহ মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার দুটি মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি হাওর বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
তিনি জানান, মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তারা হলেন- বহিষ্কৃত বগুড়া শহর শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা খাতুন, স্ত্রীর বড় বোন বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, শাশুড়ি রুমি খাতুন, তুফান বাহিনীর সদস্য আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু, রুমকির সহযোগী আঞ্জুয়ারা, রুনু ও নাপিত জীবন রবিদাস। এদের মধ্যে শিমুল পলাতক রয়েছে। বাকি সকল আসামি কারাগারে।
আঞ্জুয়ারা, জীবন রবিদাস ও রুনু মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না।
এক ছাত্রীকে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে গত ১৭ জুলাই কৌশলে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা স্বামীকে দায়ী না করে ঘটনার জন্য ওই ছাত্রীকে দায়ী করে। এরপর আশা তার বোন পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে ২৭ জুলাই ভিকটিম ও তার মাকে বাসায় ডেকে আনে। সেখানে তাদের মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
গত ২৯ জুলাই তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় পৃথক মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। নির্যাতিত মা ও মেয়ে আদালতের নির্দেশে রাজশাহীর সেফহোম এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।