ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রেজুলেশনের দাবি জানিয়ে ইউএনএইচআরসি’তে খোলা চিঠি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) সদস্য ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রগুলোর কাছে খোলা চিঠি লিখেছে ৪৩টি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন। এতে আহ্বান জানানো হয়েছে, ইউএনএইচআরসি’র ৩৬তম আসন্ন অধিবেশনে মিয়ানমারের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি রেজুলেশন গ্রহণের মাধ্যমে জরুরি ব্যবস্থা নিতে। এই রেজুলেশনে ৬ দফা প্রস্তাব অঙ্গীভূত করে তা পাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাব বা সুপারিশগুলো হলো- ১. মার্চে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্ট দেয়ার কথা। এ সময় বর্ধিত করতে হবে। ২. সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেই যাতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এ বিষয়ে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে পারে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট যাতে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পেশ করা যায় সেজন্য একটি ধারা যুক্ত করতে হবে। ৩. ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ প্রবেশাধিকার দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে। ৪. ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সঙ্গে সহযোগিতাকারী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রতিশোধ নেয়া হয় অথবা কোনো নির্যাতনের শিকার হন, তাহলে তার জন্য দায়ীদের বিচার এবং এমন ব্যক্তিদের বিরত রাখার দায় বর্তাবে মিয়ানমারের ওপর। ৫. সাম্প্রতিক ভয়াবহ সহিংসতার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে হবে। সাধারণ মানুষের ওপর অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানাতে হবে। ৬. মানবিক ত্রাণ সংস্থা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ প্রবেশাধিকার দেয়ার আহ্বান জানাতে হবে। ওই খোলা চিঠিতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ৩১শে আগস্ট জাতিসংঘের তিনজন স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হামলায় গ্রামের পর গ্রামে মানুষ হত্যার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেখানে হেলিকপ্টার রকেট চালিতে গ্রেনেড ছুড়ে হামলা চালানো হচ্ছে। ৫ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব এ ঘটনাকে ভয়াবহভাবে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে কোনো নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক, মানবিক সহায়তা দানকারী কোনো এজেন্সিকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মিডিয়াকে রাখা হয়েছে কঠোর নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্য দিয়ে রাখাইনে যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটছে তাকে কার্যত অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। তাই ওই ৪৩টি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পাস করতে বলা হয়েছে রেজুলেশন। তাতে থাকবে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান ও অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার নিশ্চয়তার আহ্বান। ওই খোলা চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এ বছর মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৩৪তম অধিবেশনে গঠন করা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অন মিয়ানমার, যা সংক্ষেপে এএএম নামে পরিচিত। গত বছর অক্টোবরে রাখাইনে ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরে এ কমিশন গঠন করা হয়। এবার আবার সীমাহীনভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে মিয়ানমার। সেখানে শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। ঘরের ভিতর মানুষ রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে তাতে। গণধর্ষণ করা হচ্ছে। আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি ২৫শে আগস্ট ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর থেকে নতুন করে সেনাবাহিনী ব্যাপক প্রতিশোধে নেমেছে। এই সহিংসতা সৃষ্টির প্রায় ১৪ দিন আগে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর রাখাইনে নতুন করে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই শুরু হয় নতুন সহিংসতা। ২৯শে আগস্ট মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার আরো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সব পক্ষকে সতর্ক করে। উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এজন্য নিন্দা জানাতে বলা হয়। কিন্তু মিয়ানমার ২০১৬ সালের অক্টোবরে সৃষ্ট সহিংসতার পর রাখাইনে পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা পুনঃস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ওই খোলা চিঠি লিখেছে ৪৩টি মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকার, আল্টসিয়ান-বার্মা, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার, আওয়াজ ফাউন্ডেশন পাকিস্তান, বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে, কায়রো ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস স্টাডিজ, ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউনিভার্সিটি অব প্রিটোরিয়া), কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ, ইজিপশিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর পারসোনাল রাইটস, ফোরটিফাই রাইটস, হিউম্যান রাইটস ওয়ার্কিং গ্রুপ, কোরিয়ান হাউজ ফর ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি, ন্যাশনাল কমিশন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস-পাকিস্তান, পিপলস এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন-থাইল্যান্ড প্রভৃতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রেজুলেশনের দাবি জানিয়ে ইউএনএইচআরসি’তে খোলা চিঠি

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) সদস্য ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রগুলোর কাছে খোলা চিঠি লিখেছে ৪৩টি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন। এতে আহ্বান জানানো হয়েছে, ইউএনএইচআরসি’র ৩৬তম আসন্ন অধিবেশনে মিয়ানমারের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি রেজুলেশন গ্রহণের মাধ্যমে জরুরি ব্যবস্থা নিতে। এই রেজুলেশনে ৬ দফা প্রস্তাব অঙ্গীভূত করে তা পাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাব বা সুপারিশগুলো হলো- ১. মার্চে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্ট দেয়ার কথা। এ সময় বর্ধিত করতে হবে। ২. সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেই যাতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এ বিষয়ে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে পারে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট যাতে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পেশ করা যায় সেজন্য একটি ধারা যুক্ত করতে হবে। ৩. ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ প্রবেশাধিকার দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে। ৪. ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সঙ্গে সহযোগিতাকারী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রতিশোধ নেয়া হয় অথবা কোনো নির্যাতনের শিকার হন, তাহলে তার জন্য দায়ীদের বিচার এবং এমন ব্যক্তিদের বিরত রাখার দায় বর্তাবে মিয়ানমারের ওপর। ৫. সাম্প্রতিক ভয়াবহ সহিংসতার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে হবে। সাধারণ মানুষের ওপর অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানাতে হবে। ৬. মানবিক ত্রাণ সংস্থা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ প্রবেশাধিকার দেয়ার আহ্বান জানাতে হবে। ওই খোলা চিঠিতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ৩১শে আগস্ট জাতিসংঘের তিনজন স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হামলায় গ্রামের পর গ্রামে মানুষ হত্যার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেখানে হেলিকপ্টার রকেট চালিতে গ্রেনেড ছুড়ে হামলা চালানো হচ্ছে। ৫ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব এ ঘটনাকে ভয়াবহভাবে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে কোনো নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক, মানবিক সহায়তা দানকারী কোনো এজেন্সিকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মিডিয়াকে রাখা হয়েছে কঠোর নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্য দিয়ে রাখাইনে যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটছে তাকে কার্যত অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। তাই ওই ৪৩টি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পাস করতে বলা হয়েছে রেজুলেশন। তাতে থাকবে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান ও অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার নিশ্চয়তার আহ্বান। ওই খোলা চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এ বছর মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৩৪তম অধিবেশনে গঠন করা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অন মিয়ানমার, যা সংক্ষেপে এএএম নামে পরিচিত। গত বছর অক্টোবরে রাখাইনে ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরে এ কমিশন গঠন করা হয়। এবার আবার সীমাহীনভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে মিয়ানমার। সেখানে শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। ঘরের ভিতর মানুষ রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে তাতে। গণধর্ষণ করা হচ্ছে। আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি ২৫শে আগস্ট ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর থেকে নতুন করে সেনাবাহিনী ব্যাপক প্রতিশোধে নেমেছে। এই সহিংসতা সৃষ্টির প্রায় ১৪ দিন আগে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর রাখাইনে নতুন করে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই শুরু হয় নতুন সহিংসতা। ২৯শে আগস্ট মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার আরো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সব পক্ষকে সতর্ক করে। উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এজন্য নিন্দা জানাতে বলা হয়। কিন্তু মিয়ানমার ২০১৬ সালের অক্টোবরে সৃষ্ট সহিংসতার পর রাখাইনে পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা পুনঃস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ওই খোলা চিঠি লিখেছে ৪৩টি মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকার, আল্টসিয়ান-বার্মা, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার, আওয়াজ ফাউন্ডেশন পাকিস্তান, বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে, কায়রো ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস স্টাডিজ, ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউনিভার্সিটি অব প্রিটোরিয়া), কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ, ইজিপশিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর পারসোনাল রাইটস, ফোরটিফাই রাইটস, হিউম্যান রাইটস ওয়ার্কিং গ্রুপ, কোরিয়ান হাউজ ফর ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি, ন্যাশনাল কমিশন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস-পাকিস্তান, পিপলস এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন-থাইল্যান্ড প্রভৃতি।