ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার প্রশংসা করতে পারছেন না যারা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ মিডিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বর্ণনা করেছে, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে। দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ বলছেন, শেখ হাসিনাকে অং সান সুচি বা ডক্টর ইউনুসের মত শান্তি পুরস্কার দেয়া মানে, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ছোট করা। মানবিক অবস্থান বলুন, আর দেশমাতৃকার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়তা বলুন, শেখ হাসিনা নিজেকে ক্রমশ নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। আগে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অনেককে দেখেছি নেতিবাচক কথাবার্তা বলতেন, এখন তারাই আবার তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় আপ্লুত হচ্ছেন। বলাবাহুল্য, এরা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করেন না।

বিএনপির এক সমর্থক আমাকে ইনবক্স করে বলেছেন, ‘জীবনে আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করব কি না জানি না, কিন্তু আজ থেকে আমি শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেলাম’। একাধিক জরিপেও এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দল এবং সরকার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় হলেন শেখ হাসিনা। নোবেল শান্তি বিজয়ী অং সান সু চি যেখানে গণহত্যায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেখানে নোবেল পুরস্কার না পাওয়া শেখ হাসিনা লাখ লাখ অসহায় বিদেশিকে গণআশ্রয় দিচ্ছেন।

আপাতত মানবিক এবং কূটনৈতিক অবস্থানে থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলা করছেন শেখ হাসিনা। বলতে গেলে, শেখ হাসিনার যুক্তিযুক্ত অবস্থানের ফলেই পুরো পৃথিবী এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে জেগে উঠছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র নিজেদের পূর্ব অবস্থান থেকে কিঞ্চিৎ হলেও পরিবর্তন করেছে। দেশে দেশে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দাবি উঠছে। অং সান সু চি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচারের দাবি উঠছে। এক অর্থে রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা যেন একজন বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছেন। শেখ হাসিনার অত্যন্ত পরিষ্কার এবং যৌক্তিক অবস্থানের পরেও বাংলাদেশের কয়েকটি শ্রেণির মানুষ সংখ্যায় তেমন উল্লেখযোগ্য না হলেও, বিরোধী অবস্থান নিয়ে সমালোচনা এবং বিপদজনক কথাবার্তা বলেই যাচ্ছেন।

প্রথমেই বিএনপি-জামাতকে কিছু বলা যাক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার মানবতাবাদী অবস্থানে এরা নাখোশ হয়ে হতাশ হয়েছে প্রতিদিন উল্টাপাল্টা বকে যাচ্ছেন। আইএসআই আর সাথে মিলে ষড়যন্ত্র আপাতত ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার দুঃখ থেকে এরা এখনো ইনিয়ে বিনিয়ে শেখ হাসিনার বিরোধীতা করছেন। বিশেষ করে নোবেল ইস্যু সামনে আসায় অসংলগ্ন কথাবার্তা বেড়েছে।

আরেকদল হলেন তথাকথিত ‘সুশীল সমাজ’। এরা শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি এদের সামান্যতম সহানুভূতি নেই। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা না কি দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। কিন্তু এরা এটা বলছেন না যে, শেখ হাসিনা আর কী করতে পারতেন। যে মিয়ানমার এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তার বিরুদ্ধে তেমন কিছু এদের বলতে দেখা যায়না। রোহিঙ্গারাই বরং এদের দৃষ্টিতে সব ঝামেলা সৃষ্টি করেছে বলে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। এরা নামে মুসলমান হলেও আত্ম-পরিচয়ের সংকট থেকে সব মুসলমানকে লাদেন মনে করে।

আরেকটা দল আছে যারা ‘সংখ্যালঘু’ পরিচয়কে উপজীব্য করে ভারতের বিজেপি, শিবসেনা, আরএসএস এর মত উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাস করে। অথচ দেশের অনেক হিন্দু ভাই-বোন রোহিঙ্গাদের পক্ষে মানবিক অবস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এই উগ্রপন্থী অংশটি কোনভাবেই রোহিঙ্গাদের মানুষ মনে করতে পারছে না। ইসলাম ধর্মের অনুসারী বলে রোহিঙ্গাদের হত্যায় তারা খুব খুশি হয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার মানবিক অবস্থানের জন্য অনেকের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায় এই উগ্রপন্থী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ। যেমন একজন কাল বললেন, রোহিঙ্গারা নাকি বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিল এবং তাই এদের হত্যা করা হচ্ছে। কৌশলে বৌদ্ধ শব্দটা ব্যবহার করছে এই শিক্ষিত, দেখতে সুন্দর শিবসেনাগুলো। এরা চাচ্ছে, মুসলমানরা যেন বৌদ্ধদের উপর হামলা করে। তখন আবার ইসলাম, মুসলমানদের গালিগালাজ করা যাবে। আর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক ভারতের গোস্বার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বৌদ্ধদের উপর আক্রমণ করিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক শেষ করতে চায় এরা। মূলত বাংলাদেশে থেকে, খেয়ে, টাকা-পয়সা কামিয়ে এরা ভারতীয় বিজেপির হয়ে কাজ করে। তবে হিন্দু ধর্মের সবাই এই শিবসেনাদের মত আত্মঘাতী না। অনেক হিন্দু ভাই-বোন আছেন যারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এরা মানবতাবাদী। ভারত থেকে শিখ ভাইয়েরা এসে রোহিঙ্গাদের জন্য লঙ্গরখানা খুলে বসেছে। প্রতিদিন নাকি ৩৫,০০০ রোহিঙ্গাকে তারা খাওয়াবেন। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় বেশ সোচ্চার ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশের তথাকথিত ‘আদিবাসী’দের একটা বখাটে অংশ রোহিঙ্গা নিধনে বিকৃত আনন্দ প্রকাশ করে আসছে। পাহাড়ে এরাই আমাদের সেনাবাহিনী, নিজ সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় মানুষ আর বাঙালিদের উপর আক্রমণ করে। প্রকৃত আদিবাসী যেমন সাঁওতাল, গারো, কোচ, যারা নিজেরাই অবহেলিত, বঞ্চিত এদের এ ব্যাপারে কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়না।

দেশের মিডিয়াতে একদল সাংবাদিককে দেখা যাচ্ছে, টেলিভিশনে, পত্রিকায় বারবার টুপি-দাঁড়িওয়ালা স্বেচ্ছাসেবক ভাইদের এমনভাবে তুলে ধরছে যেন এরা সবাই সন্ত্রাসী। ইসলাম মানুষকে মানবিক আচরণ করতে শেখায়। সে তাড়নায় যে কেউ মানবসেবা করতে পারে, এই ধারণাই নাই এই সাংবাদিকদের। জামাতকে ঠেকাতে গিয়ে এরা ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এর ফলে যে এরা স্বাধীনতা-বিরোধী জামাতকেই হাইলাইট করছে, জামাত আর ইসলাম যে এক বিষয় নয়, এটা বোঝার সামর্থ্য ইনাদের হয়নি।

তবে প্রকট সত্য হল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানবতাবাদী মানুষ শেখ হাসিনার উদারতা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখেছে। এই আস্থা দিন দিন বাড়ছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক হলেও, এদের রাজনৈতিক মুক্তি শেখ হাসিনার হাত ধরেই হবে এমন একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শেখ হাসিনার প্রশংসা করতে পারছেন না যারা

আপডেট টাইম : ০৪:৪২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ মিডিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বর্ণনা করেছে, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে। দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ বলছেন, শেখ হাসিনাকে অং সান সুচি বা ডক্টর ইউনুসের মত শান্তি পুরস্কার দেয়া মানে, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ছোট করা। মানবিক অবস্থান বলুন, আর দেশমাতৃকার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়তা বলুন, শেখ হাসিনা নিজেকে ক্রমশ নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। আগে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অনেককে দেখেছি নেতিবাচক কথাবার্তা বলতেন, এখন তারাই আবার তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় আপ্লুত হচ্ছেন। বলাবাহুল্য, এরা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করেন না।

বিএনপির এক সমর্থক আমাকে ইনবক্স করে বলেছেন, ‘জীবনে আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করব কি না জানি না, কিন্তু আজ থেকে আমি শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেলাম’। একাধিক জরিপেও এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দল এবং সরকার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় হলেন শেখ হাসিনা। নোবেল শান্তি বিজয়ী অং সান সু চি যেখানে গণহত্যায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেখানে নোবেল পুরস্কার না পাওয়া শেখ হাসিনা লাখ লাখ অসহায় বিদেশিকে গণআশ্রয় দিচ্ছেন।

আপাতত মানবিক এবং কূটনৈতিক অবস্থানে থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলা করছেন শেখ হাসিনা। বলতে গেলে, শেখ হাসিনার যুক্তিযুক্ত অবস্থানের ফলেই পুরো পৃথিবী এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে জেগে উঠছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র নিজেদের পূর্ব অবস্থান থেকে কিঞ্চিৎ হলেও পরিবর্তন করেছে। দেশে দেশে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দাবি উঠছে। অং সান সু চি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচারের দাবি উঠছে। এক অর্থে রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা যেন একজন বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছেন। শেখ হাসিনার অত্যন্ত পরিষ্কার এবং যৌক্তিক অবস্থানের পরেও বাংলাদেশের কয়েকটি শ্রেণির মানুষ সংখ্যায় তেমন উল্লেখযোগ্য না হলেও, বিরোধী অবস্থান নিয়ে সমালোচনা এবং বিপদজনক কথাবার্তা বলেই যাচ্ছেন।

প্রথমেই বিএনপি-জামাতকে কিছু বলা যাক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার মানবতাবাদী অবস্থানে এরা নাখোশ হয়ে হতাশ হয়েছে প্রতিদিন উল্টাপাল্টা বকে যাচ্ছেন। আইএসআই আর সাথে মিলে ষড়যন্ত্র আপাতত ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার দুঃখ থেকে এরা এখনো ইনিয়ে বিনিয়ে শেখ হাসিনার বিরোধীতা করছেন। বিশেষ করে নোবেল ইস্যু সামনে আসায় অসংলগ্ন কথাবার্তা বেড়েছে।

আরেকদল হলেন তথাকথিত ‘সুশীল সমাজ’। এরা শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি এদের সামান্যতম সহানুভূতি নেই। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা না কি দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। কিন্তু এরা এটা বলছেন না যে, শেখ হাসিনা আর কী করতে পারতেন। যে মিয়ানমার এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তার বিরুদ্ধে তেমন কিছু এদের বলতে দেখা যায়না। রোহিঙ্গারাই বরং এদের দৃষ্টিতে সব ঝামেলা সৃষ্টি করেছে বলে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। এরা নামে মুসলমান হলেও আত্ম-পরিচয়ের সংকট থেকে সব মুসলমানকে লাদেন মনে করে।

আরেকটা দল আছে যারা ‘সংখ্যালঘু’ পরিচয়কে উপজীব্য করে ভারতের বিজেপি, শিবসেনা, আরএসএস এর মত উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাস করে। অথচ দেশের অনেক হিন্দু ভাই-বোন রোহিঙ্গাদের পক্ষে মানবিক অবস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এই উগ্রপন্থী অংশটি কোনভাবেই রোহিঙ্গাদের মানুষ মনে করতে পারছে না। ইসলাম ধর্মের অনুসারী বলে রোহিঙ্গাদের হত্যায় তারা খুব খুশি হয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার মানবিক অবস্থানের জন্য অনেকের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায় এই উগ্রপন্থী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ। যেমন একজন কাল বললেন, রোহিঙ্গারা নাকি বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিল এবং তাই এদের হত্যা করা হচ্ছে। কৌশলে বৌদ্ধ শব্দটা ব্যবহার করছে এই শিক্ষিত, দেখতে সুন্দর শিবসেনাগুলো। এরা চাচ্ছে, মুসলমানরা যেন বৌদ্ধদের উপর হামলা করে। তখন আবার ইসলাম, মুসলমানদের গালিগালাজ করা যাবে। আর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক ভারতের গোস্বার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বৌদ্ধদের উপর আক্রমণ করিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক শেষ করতে চায় এরা। মূলত বাংলাদেশে থেকে, খেয়ে, টাকা-পয়সা কামিয়ে এরা ভারতীয় বিজেপির হয়ে কাজ করে। তবে হিন্দু ধর্মের সবাই এই শিবসেনাদের মত আত্মঘাতী না। অনেক হিন্দু ভাই-বোন আছেন যারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এরা মানবতাবাদী। ভারত থেকে শিখ ভাইয়েরা এসে রোহিঙ্গাদের জন্য লঙ্গরখানা খুলে বসেছে। প্রতিদিন নাকি ৩৫,০০০ রোহিঙ্গাকে তারা খাওয়াবেন। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় বেশ সোচ্চার ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশের তথাকথিত ‘আদিবাসী’দের একটা বখাটে অংশ রোহিঙ্গা নিধনে বিকৃত আনন্দ প্রকাশ করে আসছে। পাহাড়ে এরাই আমাদের সেনাবাহিনী, নিজ সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় মানুষ আর বাঙালিদের উপর আক্রমণ করে। প্রকৃত আদিবাসী যেমন সাঁওতাল, গারো, কোচ, যারা নিজেরাই অবহেলিত, বঞ্চিত এদের এ ব্যাপারে কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়না।

দেশের মিডিয়াতে একদল সাংবাদিককে দেখা যাচ্ছে, টেলিভিশনে, পত্রিকায় বারবার টুপি-দাঁড়িওয়ালা স্বেচ্ছাসেবক ভাইদের এমনভাবে তুলে ধরছে যেন এরা সবাই সন্ত্রাসী। ইসলাম মানুষকে মানবিক আচরণ করতে শেখায়। সে তাড়নায় যে কেউ মানবসেবা করতে পারে, এই ধারণাই নাই এই সাংবাদিকদের। জামাতকে ঠেকাতে গিয়ে এরা ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এর ফলে যে এরা স্বাধীনতা-বিরোধী জামাতকেই হাইলাইট করছে, জামাত আর ইসলাম যে এক বিষয় নয়, এটা বোঝার সামর্থ্য ইনাদের হয়নি।

তবে প্রকট সত্য হল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানবতাবাদী মানুষ শেখ হাসিনার উদারতা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখেছে। এই আস্থা দিন দিন বাড়ছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক হলেও, এদের রাজনৈতিক মুক্তি শেখ হাসিনার হাত ধরেই হবে এমন একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।