হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন-ওআইসি’র সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের ওপর বার বার অত্যাচারের ফলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক অসহায় রোহিঙ্গার বোঝা বহনের মতো মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অাজ রবিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানার প্যালেস অব ইন্ডিপেন্ডেন্স-এ ওআইসি’র প্রথম ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনে’ ভাষণ দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নিজ দেশের নাগরিকত্বসহ সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমি আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই রোহিঙ্গারা উপর্যুপোরি নির্মমতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের ওপর ‘সরাসরি বিরূপ প্রভাব’ সৃষ্টি করেছে। মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে তাদেরকে নির্মমভাবে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ফলে প্রাণ রক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী দেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।’
এসময় মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
কাজাখস্তানের রাজধানীতে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও মুসলিম বিশ্বকে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জগতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।