ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দেশের ২৭ ভাগ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৫৬ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো সক্ষম (১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী)  প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এখনো নিরক্ষর রয়ে গেছে।  আর কবে নাগাদ দেশ নিরক্ষরমুক্ত হবে এ বিষয়েও দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়টি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। এছাড়া সাক্ষরতার হার নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। এতে প্রকৃত নিরক্ষরের সংখ্যা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ হলে প্রকৃতপক্ষে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ কোটির বেশি। এমন বাস্তবতার মধ্যেই গতকাল বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
সাক্ষরতার হার নিয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে। এই বিভ্রান্তির কারণে দেশে প্রকৃত অর্থে নিরক্ষর লোকের সংখ্যা কত তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যে রয়েছে অনেক গরমিল। কোন তথ্যটি সঠিক তা কেউ বলতে পারছে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে সাক্ষরতা নিয়ে দেশজুড়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) মোর্চা ‘গণস্বাক্ষরতা অভিযানে’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাক্ষরতার হার ৫৮ শতাংশ।
সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্তকরণ, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, পোস্টার তৈরি, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, গোলটেবিল বৈঠক ও টেলিভিশন টকশোর আয়োজন করা হয়। গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার সাক্ষরতা বিস্তারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শীত আরও বাড়বে, সেই সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

দেশের ২৭ ভাগ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর

আপডেট টাইম : ১০:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো সক্ষম (১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী)  প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এখনো নিরক্ষর রয়ে গেছে।  আর কবে নাগাদ দেশ নিরক্ষরমুক্ত হবে এ বিষয়েও দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়টি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। এছাড়া সাক্ষরতার হার নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। এতে প্রকৃত নিরক্ষরের সংখ্যা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ হলে প্রকৃতপক্ষে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ কোটির বেশি। এমন বাস্তবতার মধ্যেই গতকাল বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
সাক্ষরতার হার নিয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে। এই বিভ্রান্তির কারণে দেশে প্রকৃত অর্থে নিরক্ষর লোকের সংখ্যা কত তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যে রয়েছে অনেক গরমিল। কোন তথ্যটি সঠিক তা কেউ বলতে পারছে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে সাক্ষরতা নিয়ে দেশজুড়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) মোর্চা ‘গণস্বাক্ষরতা অভিযানে’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাক্ষরতার হার ৫৮ শতাংশ।
সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্তকরণ, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, পোস্টার তৈরি, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, গোলটেবিল বৈঠক ও টেলিভিশন টকশোর আয়োজন করা হয়। গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার সাক্ষরতা বিস্তারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে।