ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন বঞ্চিত জনতাকে পুনর্বাসন করা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করতে বঙ্গবন্ধু নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। রাষ্ট্রকে উপহার দিয়েছিলেন যুগোপযোগী একটি সংবিধান। অর্থনীতিকে তিনি সচল করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শনই ছিল বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনতাকে পুনর্বাসন করা ও তাদের ক্ষুধামুক্ত রাখা।

বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা গভীরভাবে উপলদ্ধি করতেন। তাই তিনি সারাটা জীবন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এ কারণে জীবনের অধিকাংশ সময় তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো প্রলোভন বা মোহই বঙ্গবন্ধুকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। জনতার মুক্তির প্রশ্নে যখন যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তখন তিনি তাই করেছেন। ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ, নির্লোভ ও নির্মোহ সত্ত্বার প্রতিফলন দেখা যায়। আজও বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত থেকে প্রতিধ্বনিত হয় সেই বজ্রকণ্ঠ  ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই’।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান জনসমষ্টির প্রায় ৬৫ ভাগই তরুণ। তারুণ্যের এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মেধা ও দক্ষতা দিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি তাগিদ দেন। বিশ্বের মানসম্মত শিক্ষাকে আলিঙ্গন করে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার পাশাপাশি নিজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যতিত বাংলাদেশের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা অস্বীকার করে তারা বাঙালি নয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও তারা বিশ্বাসী নয়।

চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ দিনে দিনে উন্নতির অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য কাজী রোজী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন বঞ্চিত জনতাকে পুনর্বাসন করা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করতে বঙ্গবন্ধু নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। রাষ্ট্রকে উপহার দিয়েছিলেন যুগোপযোগী একটি সংবিধান। অর্থনীতিকে তিনি সচল করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শনই ছিল বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনতাকে পুনর্বাসন করা ও তাদের ক্ষুধামুক্ত রাখা।

বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা গভীরভাবে উপলদ্ধি করতেন। তাই তিনি সারাটা জীবন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এ কারণে জীবনের অধিকাংশ সময় তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো প্রলোভন বা মোহই বঙ্গবন্ধুকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। জনতার মুক্তির প্রশ্নে যখন যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তখন তিনি তাই করেছেন। ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ, নির্লোভ ও নির্মোহ সত্ত্বার প্রতিফলন দেখা যায়। আজও বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত থেকে প্রতিধ্বনিত হয় সেই বজ্রকণ্ঠ  ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই’।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান জনসমষ্টির প্রায় ৬৫ ভাগই তরুণ। তারুণ্যের এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মেধা ও দক্ষতা দিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি তাগিদ দেন। বিশ্বের মানসম্মত শিক্ষাকে আলিঙ্গন করে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার পাশাপাশি নিজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যতিত বাংলাদেশের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা অস্বীকার করে তারা বাঙালি নয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও তারা বিশ্বাসী নয়।

চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ দিনে দিনে উন্নতির অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য কাজী রোজী।