হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করে আদালত তাদের পরিধি অতিক্রম করেছে।
সর্ব্বেচ্চ আদালত সংবিধান নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতেই পারে এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু যে বিষয়টি ঘটেছে তা হলো আদালতের রায় দেওয়ার যে পরিধি সেই পরিধিকে তারা অতিক্রম করে অনেক বিষয় নিয়ে এসেছেন যা এই রায়ের সাথে কোন সর্ম্পক নেই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে বিপদকালীন আমন চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মীবলেন, সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে রায়ে প্রশ্ন তুলা হয়েছে । এমনকি এই সূত্র ধরে পাকিস্তানের প্রসংঙ্গ তুলে ধরেছেন এইসব বিষয় নিয়েই আদালতের সাথে আমাদের আপত্তি। কারণ, একটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই দেশের সংবিধান নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার অধিকার রাখতেই পারেন। কিন্তু সংবিধান তৈরী করা, তা পাশ করা এবং তা প্রয়োগ করা জনগনের ক্ষমতার মধ্যে পরে। জনগন তা প্রয়োগ করান তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে।
এই রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি না বুঝে আমাদের সাথে বিরোধীতা করছেন, তারা বুঝলে দেশের জনগণের জন্য না হলেও নিজেদের জনই আপত্তি তুলে আন্দোলন করতেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বন্যার্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক মানুষকে পুনঃবাসন করা হবে।
জাতীয় পাটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোটগত নয় একক নির্বাচনে অংশ নিবে দলটির চেয়ারম্যান এরশাদের এমন বক্তব্যের মন্তব্য করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, এরশাদ সাহেবে কথা আমি কেন দেশের কোন মানুষই বিশ্বাস করেন না। কারণ উনি সকালে এক কথা বলে আবার বিকালে আরেক কথা বলেন।
এ সময় সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, নীলফামারী খামার বাড়ির উপ-পরিচালক জি.এম. ইদ্রিস, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, এবারের বন্যায় জেলার ৬টি উপজেলার ৯২ হাজার ৩৬০ জন কৃষকের ৮ হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমির সম্পূর্ন এবং ২৯ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টাকার অঙ্কে ওই ক্ষতির পরিমান প্রায় ১১৯ কোটি টাকা।