হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৎস্য অধিদপ্তরের সৌজন্যেইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) সনদ পেল মৎস্য অধিদপ্তর। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইলিশের এই সনদ তুলে দিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষে এর মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ এই সনদ নেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সনদ তুলে দেওয়া হয়। জামদানির পর ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জিআই পণ্য হওয়ায় ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর আমাদের কাছে রুপালি ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। ওই আবেদনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ১ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব।
ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। ভারতে ১৫ শতাংশ, মিয়ানমারে ১০ শতাংশ, আরব সাগর তীরবর্তী দেশগুলো এবং প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে বাকি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ আছে, বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই ইলিশের উৎপাদন কমছে। একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।