আপনার অভিনয়ের ব্যস্ততা কেমন এখন?
আসলে অভিনয়ের ব্যস্ততা এখন খুব একটা নেই। রোজার আগের মাসে বেশ ক’টি নাটকে কাজ করলেও রোজার পুরো মাসটিই আমি মিডিয়া থেকে দূরে অবস্থান করছি। আর ঈদের পর মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় অভিনয় ছেড়ে মায়ের দিকেই বেশি খেয়াল রেখেছি। তবে এখন আবার কাজে মনোযোগী হচ্ছি। এরই মধ্যে নতুন একটি সিরিয়ালে অভিনয়ও শুরু করে দিয়েছি। নির্মাতাদের সঙ্গে নতুন নাটক এবং সিনেমা নিয়েও আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে নতুন সিনেমায় কাজ শুরু করব।
আপনার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ভালবাসার রংধনু’ এর কাজ কতদূর এগিয়েছে। কবে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি?
সিনেমাটিতে তিন বছর আগে অভিনয় শুরু করি। পরিচালক এখনও এর কাজ শেষ করতে পারেননি। এখনও দুইটি গানের কাজ বাকি রয়ে গেছে। এ দুইটি গানের কাজ শেষ হলেই সম্পূর্ণভাবে সিনেমাটির কাজ শেষ হবে। তবে কবে সিনেমাটি মুক্তি পাবে, সে বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। এটি শুধু ছবির নির্মাতা এবং প্রযোজনা সংস্থা বলতে পারবে।
সিনেমাটি নির্মাণে এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ কী?
শুনেছি অর্থ সঙ্কটের কারণেই ছবিটি নির্মাণে দীর্ঘ সময় নিচ্ছেন পরিচালক। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি নির্মাতাও নাকি পরিবর্তন হচ্ছে। দীর্ঘ সময় লাগার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ আমি বলতে পারব না। তবে আমার মনে হচ্ছে, এসব কাজে পেশাদারিত্বের অভাব থাকলে গরমিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
একসময় উপস্থাপনায় নিয়মিত ছিলেন। এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। এ মাধ্যম থেকে কি সরে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, একসময় নাটকে এবং উপস্থাপনায় নিয়মিত ছিলাম। এখন আর নিয়মিত নেই। সিনেমার কাজের জন্য সব ক্ষেত্রেই কাজ কমিয়ে দিয়েছি। আর উপস্থাপনা তো একেবারেই করা হচ্ছে না। আপাতত সিনেমা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এর বাইরে কোনো বিষয়ে ভাবছি না। মানুষের মনে রাখার মতো সিনেমায় অভিনয় করতে চাই।
নিজেকে নাকি ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন। এর সত্যতা কতটুকু?
হ্যাঁ, ব্যবসা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। আর গার্মেন্ট ব্যবসা হচ্ছে আমাদের পারিবারিক ব্যবসা। কিন্তু আমি গার্মেন্ট ব্যবসা নয়, বুটিক ব্যবসায় নামতে যাচ্ছি। অভিনয়টা হলো আমার শখ এবং নেশার জায়গা। এটাকে পেশা বানাতে চাই না। শখ হিসেবেই রাখতে চাই। আর ব্যবসা করতে চাই জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে।