ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর ১০ বছর ধরেই সাঁকোতে…

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভয়াবহ সিডরের ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর ১০ বছর ধরে একটি সাঁকোই দুই গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোতে পার হচ্ছে হাজার হাজার গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থী । কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।

কর্ণকাঠী ও চরকরনজি নামের গ্রাম দুটির অবস্থান বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীর ওপারে চরকাউয়া ইউনিয়নে।

স্থানীয় জানিয়েছেন, ব্রিজের অভাবে কয়েক মিনিটের পথ দীর্ঘসময় ঘুরে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহনের অভাবে ওই এলাকার অসুস্থ রোগীদের সময়মত হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও  ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকো । সাঁকো থেকে পড়ে অনেক শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম খান বলেন, এখানের ব্রিজটি আগেই ঝুঁকিপূর্ন ছিল। আমরা সরকারের কাছে সংস্কারের জন্য আবেদনও করেছিলাম। এরপর সিডরে আঘাতে  ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। পরবর্তিতে এখানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কোন বরাদ্দই পাওয়া যায়নি।

বরিশাল সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গত বছর বিষয়টি অবগত হয়ে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। কিন্তু নতুন করে বরাদ্দ না আসায় সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।’

বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খুবই দ্রুততার সাথে সেখানে একটি লোহার ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর ১০ বছর ধরেই সাঁকোতে…

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভয়াবহ সিডরের ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর ১০ বছর ধরে একটি সাঁকোই দুই গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোতে পার হচ্ছে হাজার হাজার গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থী । কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।

কর্ণকাঠী ও চরকরনজি নামের গ্রাম দুটির অবস্থান বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীর ওপারে চরকাউয়া ইউনিয়নে।

স্থানীয় জানিয়েছেন, ব্রিজের অভাবে কয়েক মিনিটের পথ দীর্ঘসময় ঘুরে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহনের অভাবে ওই এলাকার অসুস্থ রোগীদের সময়মত হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও  ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকো । সাঁকো থেকে পড়ে অনেক শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম খান বলেন, এখানের ব্রিজটি আগেই ঝুঁকিপূর্ন ছিল। আমরা সরকারের কাছে সংস্কারের জন্য আবেদনও করেছিলাম। এরপর সিডরে আঘাতে  ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। পরবর্তিতে এখানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কোন বরাদ্দই পাওয়া যায়নি।

বরিশাল সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গত বছর বিষয়টি অবগত হয়ে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। কিন্তু নতুন করে বরাদ্দ না আসায় সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।’

বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খুবই দ্রুততার সাথে সেখানে একটি লোহার ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।