নির্বাচনের ফর্মুলা নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণ বাস্তবভিত্তিক নয়, তবে এতে বিএনপি আশান্বিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, দেশে সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এ রায়ে প্রকাশ পেয়েছে।”
রিপন বলেন, দেশে যে একটি রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে এই রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। তবে এটা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এরপরও আমরা আশা করবো সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করবে। একই সঙ্গে সমাধানে উদ্যোগ নেবে।”
আজ রবিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিপন এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট দুটি ফর্মুলা দিয়েছে। প্রথম ফর্মুলায় বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন ৫০ জন মন্ত্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলো থেকে ভোটের হারের অনুপাতে মন্ত্রী নেওয়া হবে। হাইকোর্টের দ্বিতীয় ফর্মুলায় বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সর্বশেষ এক বছর ক্ষমতায় থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিপন বলেন, দেশে বর্তমানে বিরোধী দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে না। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি এখনও অব্যাহত আছে। খালেদা জিয়া ইতঃপূর্বে নিজেই স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন দেশে বিরোধী দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে না। বিএনপি পুনর্গঠনই এখন আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি না চললেও সরকারের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। সরকার ক্রমশ ক্ষয়িঞ্চু হয়ে পড়ছে। তারা ভেতরে ভেতরে ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-সম্পাদক জন গোমেজ, সহ-দপ্তর আসাদুল করিম শাহীন, সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, লায়লা বেগম প্রমুখ।