১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে সূর্য উদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলটির সবস্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে জাতির জনকের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নেতাকর্মীরা পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানাবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নগরীর প্রতিটি শাখা থেকে শোক মিছিলসহ বঙ্গবন্ধু ভবনে আসবেন নেতাকর্মীরা।
সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত থাকবেন।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎবার্ষিকীতে শনিবার বাদ জোহর দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে অস্বচ্ছল দুস্থ মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে। বাদ আছর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাসমূহের সবস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি স্মরণ ও পালন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।