ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শকদের এতো ভালবাসা আমি আগে কখনো পাইনি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৫
  • ৪৯৫ বার

দীর্ঘ বিরতির পর বড় পর্দায় ফিরলেন সুন্দরী ও সুঅভিনেত্রী কেয়া। সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘ব্ল্যাকমানি’ ছবির মাধ্যমে বলা যায় নতুনরূপে ফিরলেন তিনি। তার এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে কথা হলো কেয়ার সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন
অনেকদিন পর বড় পর্দায় কেয়া, কেমন লাগছে?
খুবই ভাল লাগছে। ‘ব্ল্যাকমানি’ ছবিটি নতুন এক কেয়াকে উপহার দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছি। তাদের উচ্ছ্বাস দেখে এতটাই ভাল লেগেছে যে, মনে হলো সিনেমাটিতে আমার নতুন জন্ম হয়েছে।
অনেকদিন পরের বিষয়টা কেমন লাগছে?
বলে প্রকাশ করা যাবে না। আমার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি আমাদের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ‘আয়না কাহিনী’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এই ছবিটি খুব বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না পেলেও এটি আমাকে অভিনেত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর ‘ব্ল্যাকমানি’ আমাকে পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে তুলে ধরেছে। আমি কৃতজ্ঞ ছবির প্রযোজনা সংস্থা মুভি প্লানেট মাল্টিমিডিয়া, পরিচালক সাফিউদ্দিন সাফি, আমার সহশিল্পী এবং পুরো ‘ব্ল্যাকমানি’ টিমের প্রতি।
প্রথম ছবি ‘কঠিন বাস্তব’ থেকে প্রদর্শন চলতি ‘ব্ল্যাকমানি’র কেয়ার মধ্যে পরিবর্তন কতটুকু?
অনেক। ‘কঠিন বাস্তব’ ছবিতে আমি ছিলাম কিশোরী আর ‘ব্ল্যাকমানি’তে পরিপূর্ণ তরুণী।
‘ব্ল্যাকমানি’ ছবির সাফল্যের পেছনে আপনি কাদের কৃতিত্ব দেবেন?
পুরো ‘ব্ল্যাকমানি’ টিমকেই কৃতিত্ব দেবো। কারণ ‘ব্ল্যাকমানি’ একটি সুন্দর গল্প, শ্রুতিমধুর গান, নয়নাভিরাম লোকেশন, তারকাশিল্পীদের অভিনয় সবকিছু মিলিয়েই পরিপূর্ণ একটি ছবি। পুরো টিমের পরিশ্রমের ফসল ‘ব্ল্যাকমানি’। কৃতিত্ব সবার।
এই ছবিতে আপনার সঙ্গে প্রথম কাজ করেছেন সাইমন, প্রথম অভিষেক হয়েছে মৌসুমী হামিদের?
সাইমন আর আমার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ব্ল্যাকমানি’। মৌসুমী হামিদেরও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। শুটিংয়ের সময় আমরা বন্ধুর মতো কাজ করেছি। এখনও আমরা বন্ধু। কাজ করতে খুব ভাল লেগেছে বলেই ছবিটি দর্শকদেরও ভাল লেগেছে। সাইমন এবং মৌসুমী হামিদ সুযোগ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করেছেন। এক সঙ্গে সাফল্য পাওয়ায় খুব ভাল লাগছে।
নতুন রূপে পর্দায় কেয়াকে দেখে কেমন লাগলো?
অসাধারণ। নিজের প্রশংসা করছি না। এটা সবার কথা। তবে আমার মতে, ‘ব্ল্যাকমানি’ আমার অভিনয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি। অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি, কিন্তু দর্শকদের এতো ভালবাসা আমি আগে কখনো পাইনি।
এখন সামনে কি ভাবছেন?
ভাল ভাল কিছু ছবিতে অভিনয় করতে চাই। নিয়মিত কাজ করতে চাই। যে নতুন কেয়াকে ‘ব্ল্যাকমানি’ জন্ম দিয়েছে সেই কেয়াকে চলচ্চিত্রের সেবায় নিয়োজিত রাখতে চাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দর্শকদের এতো ভালবাসা আমি আগে কখনো পাইনি

আপডেট টাইম : ০৭:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৫

দীর্ঘ বিরতির পর বড় পর্দায় ফিরলেন সুন্দরী ও সুঅভিনেত্রী কেয়া। সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘ব্ল্যাকমানি’ ছবির মাধ্যমে বলা যায় নতুনরূপে ফিরলেন তিনি। তার এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে কথা হলো কেয়ার সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন
অনেকদিন পর বড় পর্দায় কেয়া, কেমন লাগছে?
খুবই ভাল লাগছে। ‘ব্ল্যাকমানি’ ছবিটি নতুন এক কেয়াকে উপহার দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছি। তাদের উচ্ছ্বাস দেখে এতটাই ভাল লেগেছে যে, মনে হলো সিনেমাটিতে আমার নতুন জন্ম হয়েছে।
অনেকদিন পরের বিষয়টা কেমন লাগছে?
বলে প্রকাশ করা যাবে না। আমার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি আমাদের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ‘আয়না কাহিনী’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এই ছবিটি খুব বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না পেলেও এটি আমাকে অভিনেত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর ‘ব্ল্যাকমানি’ আমাকে পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে তুলে ধরেছে। আমি কৃতজ্ঞ ছবির প্রযোজনা সংস্থা মুভি প্লানেট মাল্টিমিডিয়া, পরিচালক সাফিউদ্দিন সাফি, আমার সহশিল্পী এবং পুরো ‘ব্ল্যাকমানি’ টিমের প্রতি।
প্রথম ছবি ‘কঠিন বাস্তব’ থেকে প্রদর্শন চলতি ‘ব্ল্যাকমানি’র কেয়ার মধ্যে পরিবর্তন কতটুকু?
অনেক। ‘কঠিন বাস্তব’ ছবিতে আমি ছিলাম কিশোরী আর ‘ব্ল্যাকমানি’তে পরিপূর্ণ তরুণী।
‘ব্ল্যাকমানি’ ছবির সাফল্যের পেছনে আপনি কাদের কৃতিত্ব দেবেন?
পুরো ‘ব্ল্যাকমানি’ টিমকেই কৃতিত্ব দেবো। কারণ ‘ব্ল্যাকমানি’ একটি সুন্দর গল্প, শ্রুতিমধুর গান, নয়নাভিরাম লোকেশন, তারকাশিল্পীদের অভিনয় সবকিছু মিলিয়েই পরিপূর্ণ একটি ছবি। পুরো টিমের পরিশ্রমের ফসল ‘ব্ল্যাকমানি’। কৃতিত্ব সবার।
এই ছবিতে আপনার সঙ্গে প্রথম কাজ করেছেন সাইমন, প্রথম অভিষেক হয়েছে মৌসুমী হামিদের?
সাইমন আর আমার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ব্ল্যাকমানি’। মৌসুমী হামিদেরও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। শুটিংয়ের সময় আমরা বন্ধুর মতো কাজ করেছি। এখনও আমরা বন্ধু। কাজ করতে খুব ভাল লেগেছে বলেই ছবিটি দর্শকদেরও ভাল লেগেছে। সাইমন এবং মৌসুমী হামিদ সুযোগ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করেছেন। এক সঙ্গে সাফল্য পাওয়ায় খুব ভাল লাগছে।
নতুন রূপে পর্দায় কেয়াকে দেখে কেমন লাগলো?
অসাধারণ। নিজের প্রশংসা করছি না। এটা সবার কথা। তবে আমার মতে, ‘ব্ল্যাকমানি’ আমার অভিনয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি। অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি, কিন্তু দর্শকদের এতো ভালবাসা আমি আগে কখনো পাইনি।
এখন সামনে কি ভাবছেন?
ভাল ভাল কিছু ছবিতে অভিনয় করতে চাই। নিয়মিত কাজ করতে চাই। যে নতুন কেয়াকে ‘ব্ল্যাকমানি’ জন্ম দিয়েছে সেই কেয়াকে চলচ্চিত্রের সেবায় নিয়োজিত রাখতে চাই।