হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় নির্বাচন আরো প্রায় দেড় বছর পর হওয়ার কথা। কিন্তু এখনই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। পরিকল্পনাও গুছিয়ে এনেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার সম্ভাব্য রায় ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হলে বিএনপির গন্তব্য কী হতে পারে তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে ধরে নিয়ে আগাম সতর্ক সরকারি দলের নেতারা, ভাবছেন রায় পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিএনপি আন্দোলনে নামলে তা মোকাবিলার উপায় নিয়েও।
ক্ষমতায় থেকে এই রায়ের সুফল ঘরে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ, তবে রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গেলে দেশের মানুষ তা কিভাবে নেবে, তাতে কি লাভ-ক্ষতি হবে তার হিসাবও মেলাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার মামলার রায় হবে। এর মধ্য দিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ হবে।’
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তেবলেন, ‘দলের ভেতরে খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। মামলায় খালেদা জিয়ার পরিণতি কী হতে পারে, তার সাজা হলে বিএনপি এটাকে কিভাবে নেবে এসব ভাবা হচ্ছে। পরিণতি ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক-এটার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিএনপি কি খালেদা জিয়ার সাজার দোহাই দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে? তার সাজা হলে ‘জনমত’ কী রকম হবে? জনগণ বিএনপিকে সহানুভূতি দেবে কিনা-এসবের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে আওয়ামী লীগে।’
খালেদা জিয়ার সম্ভাব্য সাজা নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অপর এক সদস্য বলেন, ‘আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা দিলে আপিল বিভাগে সেটা কি বহাল থাকবে? নাকি বিষয়টি ঝুলে যাবে? ঝুলে গেলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা? আর আপিল বিভাগে সাজা বহাল না থাকলে খালেদা জিয়া জামিন নিয়ে নির্বাচন করলে নির্বাচনি হিসাব-নিকাশ কী হবে? এসব বিষয়ে দলের ভেতরে আলোচনা চলছে।