ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একুশটা বছর সামিরা আমাকে যা বুঝাইছে, তাই বলে গেছি’: রুবি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩২০ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ গেল সোমবার রুবি তার ফেসবুকে সালমান শাহ্’র আত্মহত্যা নয়, হত্যা দাবি করে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বলেন, ‘আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছিলেন সালমান শাহ এবং তা করিয়েছিলেন তারই স্ত্রী সামিরা হকের পরিবার।’
তবে আজ বুধবার প্রকাশিত আরো একটি ভিডিওতে রুবি তার আগের দাবি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন, এবার বলছেন, ‘এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তিনি জানেন না।এটা ইনভেস্টিগেশন করলে বের হবে।’
সালমান হত্যা মামলার ১১ জন আসামির মধ্যে অন্যতম রুবির পুরো নাম রাবেয়া সুলতানা রুবি। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে চাইনিজ স্বামী ও দুই সন্তানসহ অনেক বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি।
সোমবার রুবি বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’
আজকের ভিডিওতে রুবি বলছেন, সম্প্রতি ছেলে ভিকির কাছে সালমানের মৃত্যুর সময়কার একটা ঘটনা শুনে সন্দেহ হয় তার। সালমানের মৃত্যুর পরপরই সামিরা (সালমানের স্ত্রী) একটি পুটলি পাশের ছাদে ছুড়ে ফেলার জন্য ভিকিকে দেয়। এ ঘটনা শুনে তার সন্দেহ হয়।
২১ বছরে নানা সময়ে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা দাবি করেছেন রুবি। এ বিষয়ে রুবির দাবি, আমি তো পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উপর বিশ্বাস করে বারবার আত্মহত্যা বলছি। আমি হত্যা বা আত্মহত্যার সাক্ষী ছিলাম না। আমি যা শুনেছি সামিরার মুখে শুনেছি। সামিরার মুখে শুনে আত্মহত্যা বলেছি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘সামিরাকে কেন সামনে আনে না। ওর বাবা কেন ওর হয়ে কথা বলে। ওর স্বামী কেন কথা বলে। সামিরা কেন বলেন না, কী কারণ ছিল?’ ভিডিওতে মন্তব্যকারীদের প্রশ্নেরও জবাব দেন রুবি। তিনি বলেন, ‘এফবিআই, সিআইএ-র সঙ্গে কথা বলব। বাঙালির সঙ্গে কথা বলব না। বাঙালি কথা বুঝলে ২১ বছর এটা (সালমানের মৃত্যু রহস্য) ঝুলে থাকত না।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। ওই ঘটনায় সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। ২০০২ সালে মারা যান সালমান শাহর বাবা। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে থাকা রুবির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।
পুত্রবধূ সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাই, রুবি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, মোস্তাক ওয়াহিদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারাকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আদালতে আবেদন করেন নীলা চৌধুরী।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

একুশটা বছর সামিরা আমাকে যা বুঝাইছে, তাই বলে গেছি’: রুবি

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ গেল সোমবার রুবি তার ফেসবুকে সালমান শাহ্’র আত্মহত্যা নয়, হত্যা দাবি করে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বলেন, ‘আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছিলেন সালমান শাহ এবং তা করিয়েছিলেন তারই স্ত্রী সামিরা হকের পরিবার।’
তবে আজ বুধবার প্রকাশিত আরো একটি ভিডিওতে রুবি তার আগের দাবি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন, এবার বলছেন, ‘এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তিনি জানেন না।এটা ইনভেস্টিগেশন করলে বের হবে।’
সালমান হত্যা মামলার ১১ জন আসামির মধ্যে অন্যতম রুবির পুরো নাম রাবেয়া সুলতানা রুবি। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে চাইনিজ স্বামী ও দুই সন্তানসহ অনেক বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি।
সোমবার রুবি বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’
আজকের ভিডিওতে রুবি বলছেন, সম্প্রতি ছেলে ভিকির কাছে সালমানের মৃত্যুর সময়কার একটা ঘটনা শুনে সন্দেহ হয় তার। সালমানের মৃত্যুর পরপরই সামিরা (সালমানের স্ত্রী) একটি পুটলি পাশের ছাদে ছুড়ে ফেলার জন্য ভিকিকে দেয়। এ ঘটনা শুনে তার সন্দেহ হয়।
২১ বছরে নানা সময়ে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা দাবি করেছেন রুবি। এ বিষয়ে রুবির দাবি, আমি তো পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উপর বিশ্বাস করে বারবার আত্মহত্যা বলছি। আমি হত্যা বা আত্মহত্যার সাক্ষী ছিলাম না। আমি যা শুনেছি সামিরার মুখে শুনেছি। সামিরার মুখে শুনে আত্মহত্যা বলেছি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘সামিরাকে কেন সামনে আনে না। ওর বাবা কেন ওর হয়ে কথা বলে। ওর স্বামী কেন কথা বলে। সামিরা কেন বলেন না, কী কারণ ছিল?’ ভিডিওতে মন্তব্যকারীদের প্রশ্নেরও জবাব দেন রুবি। তিনি বলেন, ‘এফবিআই, সিআইএ-র সঙ্গে কথা বলব। বাঙালির সঙ্গে কথা বলব না। বাঙালি কথা বুঝলে ২১ বছর এটা (সালমানের মৃত্যু রহস্য) ঝুলে থাকত না।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। ওই ঘটনায় সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। ২০০২ সালে মারা যান সালমান শাহর বাবা। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে থাকা রুবির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।
পুত্রবধূ সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাই, রুবি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, মোস্তাক ওয়াহিদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারাকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আদালতে আবেদন করেন নীলা চৌধুরী।