হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক অবিস্মরণীয় নাম সালমান শাহ। তার মৃত্যু হলেও, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এখনো দর্শকের মনে বেঁচে আছেন। তার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। সালমান শাহর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল তার সংসার ও স্ত্রী সামিরা হক।
সালমানের মৃত্যুর পর সামিরা অনেকটা আড়ালে চলে যান। বিয়ে করে ঘর সংসারও শুরু করেন। এখন তিনি থাইল্যান্ড প্রবাসী। সালমানের মৃত্যুর কয়েক বছর পর তিনি ব্যবসায়ী মুস্তাক ওয়াইজকে বিয়ে করেন। থাইল্যান্ডে সুখেই আছেন সামিরা এমন ধারণা সবার। সামিরার নতুন সংসারে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। থাইল্যান্ডে সামিরার ছোট দুই বোন ফাহরিয়া হক ও হুনায়জা শেখ তাদের স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করেন।
বাংলাদেশে তেমন আসেন না সামিরা।
এলে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। সালমানের মৃত্যুর পর নিজেকে নিয়ে আড়ালে চলে যান তিনি। সালমানের মা নীলা চৌধুরী সালমানের মৃত্যুর জন্য সামিরাকে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। তাই সালমানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না সামিরা। সালমান শাহ মাত্র ২১ বছর বয়সে তার মা নীলা চৌধুরীর বান্ধবীর মেয়ে সামিরাকে বিয়ে করেন। সামিরার বাবা জাতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার-অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা এবং মা থাইল্যান্ডের নাগরিক চট্টগ্রামের বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী লুসি।
এদিকে সামিরার বাবা জানিয়েছিলেন, সালমানের মৃত্যুতে সামিরা ভেঙে পড়েন। সবাই নায়ক হারানোর ব্যথায় কেঁদেছিল। আর আমার মেয়ে কেঁদেছিল বিধবা হওয়ার যন্ত্রণায়। সেই কষ্ট কেউ বোঝার আগেই তাকে নিয়ে নানা রকম অপবাদ ছড়ানো হয়। যাক, সবার দোয়ায় সামিরা এখন ভালো আছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার। তিনি জানিয়েছিলেন, সালমানের মৃত্যুদিনে সামিরা কারো সঙ্গে কথা বলে না। নিজের মতো করে থাকেন। মানতে পারেন না সালমানের সাবেক স্ত্রী শব্দটিও।
গত বছর সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। সালমান শাহ মৃত্যুর ২১ বছর একজন নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দাবি করেছেন। নিজেকে সালমান শাহ মৃত্যুর সর্বশেষ প্রত্যক্ষদর্শী দাবিকৃত ওই নারীর নাম রুবি। আজ সোমবার নিজেই এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সব তথ্য ফাঁস করলেন রুবি! তাঁর স্বামী (চীনা নাগরিক, সাংহাই রেস্টুরেন্টের মালিক) জন চেন রুবির ভাই রুমিকে দিয়ে সালমানকে খুন করিয়েছেন। সেই রুমিকেও পরে খুন করা হয়েছে।
আর এখন সালমান হত্যা মামলার সর্বশেষ প্রত্যক্ষদর্শী রুবিকেও খুন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে জন চেন। নিজের ও নিজের সন্তানের ওপর মৃত্যুর ছায়া নেমে আসার পর অবশেষে স্বীকার করলেন রুবি। এমনকি নীলা চৌধুরীর কাছেও সাহায্য চাইছেন তিনি। ভিডিও বার্তায় কথা বলার সময় রুবিকে বেশ আতঙ্কিত দেখা গেছে। তিনি দাবি করেন, তাকেও হত্যা করার চেষ্টা চলছে। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।