হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্ধুত্ব একটি অমোঘ বন্ধন। বন্ধুর জন্য বন্ধু অনেক কঠিন ত্যাগও স্বীকার করতে পারেন। দিয়ে দিতে পারেন প্রাণও। বাস্তবের পাশাপাশি সিনেমার পর্দায়ও তাই ফুটিয়ে তোলা হয় বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ভালোবাসার নিদর্শন। বন্ধু দিবসে তেমনই কয়েকটি সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। এমন দিনে যে সিনেমাগুলো মিস করা মোটেই উচিত হবে না।
কুছ কুছ হোতা হ্যায়: বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, কাজল ও রানী মুখার্জীর ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে ১৯৯৮ সালে কারণ জোহার নির্মাণ করেছিলেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। দেড় যুগ পরেও রাহুল-অঞ্জলি নামের শাহরুখ-কাজলের বন্ধুত্বের সে গল্প আজও সিনেপ্রেমীদের মুখে মুখে। যেখানে বন্ধুত্ব থেকে রাহুলকে ভালোবাসার মানুষ ভাবতে শুরু করা অঞ্জলি নিজের ভালোবাসাকে মাটিচাপা দেন বন্ধুত্বের জন্যই। কেননা, অঞ্জলি বলার আগেই যে টিনাকে(রানী) ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেন রাহুল। কষ্ট লুকিয়ে কলেজ ছেড়ে চলে যান অঞ্জলি। রাহুল ও টিনার বিয়ে হলেও সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মারা যান টিনা। প্রিয় বন্ধু অঞ্জলির স্মরণে তাদের মেয়ের নাম রাখা হয় অঞ্জলি। আট বছর পর মায়ের লেখা চিঠি থেকে সব জানতে পারে ছোট অঞ্জলি। পরে তার চেষ্টায়ই পুনর্মিলন ঘটে রাহুল-অঞ্জলির।
থ্রি ইডিয়টস: ২০০৯ সালে মুক্তি পায় পরিচালক রাজকুমার হিরানীর ‘থ্রি ইডিয়টস’। যেখানে র্যাঞ্চো, রাজু ও ফারহানের কলেজের বন্ধুত্ব ও তাদের বিভিন্ন কাজকর্মকে ঘিরে এগিয়ে যায় সিনেমার কাহিনি। কলেজের তিনজনের বন্ধুত্বকে অনস্ক্রিন ঝালিয়ে নিতে পারেন ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমাটি দেখে। সিনেমাটিতে তিন বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান, আর মাধবন ও শারমান যোশি। মুক্তির পর এটি ভারতের সব ওপেনিং বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। এমনকি, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা হিসেবেও সবার উপরে নাম লেখায় ‘থ্রি ইডিয়টস’। সিনেমাটি ছয়টি ফিল্ম ফেয়ার, দশটি স্টার স্ক্রিন এবং ষোলটি আইফা অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।
জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা: পরিচালক জয়া আখতারের এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে। পরিচালক তার ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ সিনেমাটিতে বন্ধুত্বের আমেজে দেখিয়েছেন ইউরোপের মজা। কমেডি-নাট্য ঘরোনার এ সিনেমায় তিন বন্ধুর চরিত্রে দেখা যায় ঋত্বিক রোশন, ফারহান আখতার ও অভয় দেওলকে।
দিল চাহতা হ্যায়: তিন বন্ধু। আমির খান, অক্ষয় খান্না ও সাইফ আলী খান। বেরিয়ে পড়েন রোড ট্রিপে। তাদের এই রোড ট্রিপের গল্প নিয়েই পরিচালক গায়ক ও অভিনেতা ফারহান আখতার তৈরি করেন ‘দিল চাহতা হ্যায়’ সিনেমাটি। যেখানে তিন বন্ধুর তিন রকম ভালোবাসার কাহিনি দেখানো হয়েছে। আকাশ নামের আমির খান ভালোবাসাতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এক সময় ভালোবাসা বলে যে কিছু আছে তা বুঝতে পারেন। সামির, সাইফ আলী খান। ভালোবাসার সঠিক মানে বোঝেন না। তাই তিনি নিয়মিত প্রেমিকা বদল করেন। সিনেমার মূল কাহিনি শুরু হয় আরেক বন্ধু সিদ্ধার্থ অর্থাৎ অক্ষয় খান্নার তারা নামের এক মেয়েকে ভালোবাসার মধ্যদিয়ে। যে মেয়ে কিনা তার চাইতেও অনেক বড় তালাকপ্রাপ্ত ও অসহায়। ২০০১ সালে মুক্তি পায় এ সিনেমাটি।
রক অন: ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ‘রক অন’। যেখানে বিখ্যাত দুই গায়ক ফারহান আখতার ও অর্জুন রামপালের অসাধারণ পারফরম্যান্স নতুন এক বন্ধুত্বের গল্প বুনেছিল রূপালী পর্দায়। চার যুবকের একটি ব্যান্ড দলকে ঘিরে এগিয়ে যায় ‘রক অন’ এর কাহিনি। সিনেমাটিতে চার সদস্যের ব্যান্ড দলের অন্য দুই সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেন পূরব কোহলি ও লুক কেনি।