হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুরুটা ইন্টারনেট ব্যবসা দিয়ে। এর সুবাদে বিভিন্ন পর্নোসাইটে বিচরণ করতো। মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করাও ছিল তার নেশা। একপর্যায়ে সেটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয়। শুরু করে পর্নোব্যবসা। ওয়েবসাইটে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নাম্বার ও দৈহিক মিলনের ছবি ছড়িয়ে দিতো। সেগুলোর নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে বিভিন্ন জনকে আকৃষ্ট করতো। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক পর্নোব্যবসায়ী সে। বিকৃত রুচির এই ব্যক্তির নাম ফুয়াদ বিন সুলতান। বয়স তেত্রিশ বছর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১ এর একটি দল তাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার পর্নোব্যবসার নানাদিক বেরিয়ে আসে।
র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ফুয়াদ বিন সুলতান ছাত্রাবস্থাতেই প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। এরপর সেগুলো ভিডিও করে প্রতারণা করতো। এছাড়া টাকার বিনিময়েও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। তার এসব কুকীর্তি বন্ধুরাও জানতো।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর সিও লে. কর্নেল গোলাম সারওয়ার জানান, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও ইন্টানেটে প্রচারসহ ব্লাকমেইলিংয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১ এর একটি দল মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার ৯নং সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফুয়াদ বিন সুলতানকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি ও পর্নোগ্রাফি বিস্তারের কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ ও যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে দুটি ফ্ল্যাট দেহব্যবসার কাজে ব্যবহার করতো। ওই ফ্ল্যাটেই মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়া তৈরি করেছিল।
এমনকি, ফুয়াদ বলিউডের নায়িকা ও সাবেক পর্নোস্টার সানি লিওনের সাক্ষাতকার পেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। আগামী সেপ্টেম্বরে তাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল মুম্বােইতে। সেজন্য ফুয়াদ ভারত যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনও করেছিল।