হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেগন্যান্সি মানেই শরীরে রোজ পরিবর্তন। টানা ৯ মাস ধরে শরীরের ভিতরে অন্য একটা শরীরের বেড়ে ওঠা। জরায়ুর আকার বাড়তে থাকায় পেট বড় হওয়া, তার পর প্রসবের পর ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসা। এই সময় কখনও শরীরে অস্বস্তি, কখনও ঘুমে অস্বস্তি। অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই এই সময় উত্কণ্ঠায় ভোগেন। জেনে নিন কী ভাবে পরিবর্তিত হয় শরীর।
প্রথম ত্রৈমাসিক
প্রথম কয়েক সপ্তাহে পেটের আকৃতি বাড়ে না। প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষের দিকে ছোট বেবি বাম্প অনুভব করতে পারেন। যা সহজেই পোশাকে ঢাকা পড়ে যায়। প্রোজেস্টেরন হরমোনের কারণে এই সময় প্রায়ই হজমের সমস্যা হয়। প্রোজেস্টেরন প্রেগন্যান্সির খুব গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। এই হরমোন প্রভাবেই আবার পেটের পেশীরও প্রসারণ হয়। যার ফলে হজমে সমস্যা হয়, ঢেকুর ওঠে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক
এই সময় জরায়ুর বড় হয়ে পেঁপের আকারের হয়। পেলভিসে জরায়ুর জন্য যতটা জায়গা বরাদ্দ সেই তুলনায় জরায়ুর আকার বেড়ে যায়। জরায়ু উপরের দিকে এবং বাইরের দিকে বাড়তে থাকে। পেটের পেশীতে এই সময় থেকে চাপ পড়তে থাকার কারণে কিছুটা অস্বস্তি বোধ হয়।
তৃতীয় ত্রৈমাসিক
এই সময়ের মধ্যে জরায়ু তরমুজের আকার নেয়। শেষের দিকে তরমুজের তুলনায় অনেকটাই বড় হয়ে যায়। পাঁজরের নীচে চাপ প়ড়ার কারণে এই সময় শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে অসুবিধা হয়। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে শরীরে অনেক পরিবর্তন হতে থাকে। ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে চুলকানির সমস্যা হয়, স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। লিনিয়া নিগ্রা বা প্রেগন্যান্সি লাইন এই সময় থেকে গাঢ় হতে থাকে।
প্রসবের পরে