স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বঙ্গবন্ধুকে কালজয়ী নেতা অভিহিত করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন করে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।’
সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষির্কী উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি এই আলোচনাসভার আয়োজন করেন।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক অনেক নেতাই ছিলেন। তাদের কেউ ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেননি। বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়ে তিনি ইতিহাসের স্রষ্টা হয়েছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বাঙালিকে স্বাধীনতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো তাড়াহুড়া করেননি। জাতিকে তৈরি করেছেন, তারপর ইঙ্গিত দিয়েছেন যুদ্ধের জন্য। না হলে মাত্র ৯ মাসে দেশ স্বাধীন করা সম্ভব হতো না।’
খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলে সমূদ্র আইন, স্থলসীমানা আইনসহ অনেকগুলো আইন করে গেছেন। আমরা এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তার রেখে যাওয়া কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছি।’
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকা ও ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন,‘বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদেরই জাতির পিতা নন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষও তাকে সমানভাবে জাতির পিতা হিসেবে মানেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের না, সর্বজনের এবং সারা বিশ্বে বাঙালি যে যেখানে রয়েছেন, তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র।’
বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম মুনীরের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আইনজীবী স ম রেজাউল করিম, সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সানজিদা খানম ও হুসনে আরা বাবলী, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসার ও আইনজীবী ড. বশির আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।