ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতারণা ও জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে পুলিশ। এমন বিধান রেখে মন্ত্রিপরিষদে সংশোধিত খসড়া আইন পাস হওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কশিমন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে দুদকের খসড়া আইন পাসের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এ সাধুবাদ জানান।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘দুদকের পক্ষে সীমিত জনবল নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ের প্রতারণা ও জালিয়াতির অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে সাধারণ জনগণকে পর্যাপ্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পুলিশের জনবল বেশি থাকায় তাদের পক্ষে ব্যক্তি পর্যায়ের প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দেখা অধিকতর সহজ। এক সময় পুলিশই এ ধরনের মামলার দেখভাল করত।’
তিনি বলেন, ‘আজ সংশোধন করে খসড়া আইন পাস হয়েছে। এটা হলে দুদক তাদের সক্ষমতা অনুসারে কাজ করতে পারবে। একই সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে দুদকের দায়ের করা মামলাগুলো পুলিশের কাছে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থার গ্রহণ করা জরুরী।’
‘সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দুর্নীতি দুদক দেখবে’ বলেও জানান তিনি।
দুদকের তফসিলভুক্ত মানিলন্ডারিং অপরাধের তদন্তভার পুলিশকে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চুপ্পু বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। মানিলন্ডারিং অপরাধ দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ। দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আমলেও এ ক্ষমতা ছিল। ওই আইনের মাধ্যমেই প্রয়োজনে দুদক, সিআইডি কিংবা পুলিশকে দিয়ে মানিলন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার সুযোগ ছিল। এরপরও নতুন করে আইন সংশোধন করে যদি পুলিশ কিংবা অন্য কাউকে দেওয়া হয় তবে তা হবে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রত্যাশিত।’
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দণ্ডবিধি ৪২০ ধারার অপরাধ প্রতারণা এবং ৪৬৭ ও ৪৬৮ ধারাসহ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলা দুদক আইন থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। আইন পাসের পর এ সব মামলার তদন্ত আর দুদককে করতে হবে না।
তবে সরকারি অর্থ-সম্পত্তি আত্মসাৎ সংক্রান্ত প্রতারণা, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংকের কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা তদন্ত করবে দুদক। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ এর খসড়ায় এ সব বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।