ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদমজীর সাফল্যের পেছনে রয়েছে তিন স্তরের চেষ্টা: অধ্যক্ষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০১৫
  • ৬০৬ বার

এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। এই কলেজের এক হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক হাজার ৫৭ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটির পাশের হার ৯৯.৯৩ ভাগ। একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় কলেজটি শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের খেতাবটি পায়নি বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ সাফল্যের পেছনে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকেই কৃতিত্ব দেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তামিম আহমেদ চৌধুরী। আজ ফলাফল প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কলেজে প্রায় শতভাগ পাশ করেছে। ১৩৮৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০৫৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশে হার ৯৯.৯৩ ভাগ।

তামিম আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য আমরা সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এছাড়া কারা ভাল করছে এবং কারা দুর্বল শিক্ষার্থী তাদের আমরা আলাদা করে ফেলি। যারা ভাল তারা উপরের সেকশনে থাকে। আর যারা একটু দুর্বল তারা শেষের দিকের সেকশনে থাকে। দুর্বলদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের অসুবিধাগুলো অভিভাবকদের জানানো হয়। এভাবে তিন স্তরের চেষ্ঠা তথা ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ভাল ফলাফল সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক সম্মিলিতভাবে কাজ করার চেষ্ঠা করি। সকল ক্ষেত্রে আমরা অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করি। ছাত্র/ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করি।

অধ্যক্ষ বলেন, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজ। কলেজটি সেনাবাহিনী দারা পরিচালিত হয়। এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। গত বছর এই কলেজ ঢাকা বোর্ডের অধীনে তৃতীয় স্থান অধীকার করেছিল। এবার যদিও অফিসিয়ালি পজিশন দেওয়া হয়নি। তবে ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারি, যদি এবারে পজিশন দেওয়া হতো তবে এই কলেজটি অন্যতম শীর্ষ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেত। কলেজের মূলমন্ত্র হচ্ছে শিক্ষা, শৃৃঙ্খলা ও নৈতিকতা। এই তিনটি মূলমন্ত্রের উপর ভিত্তি করে এই কলেজ পরিচালিত হয়। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলার উপর অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাল ফলাফলের পাশাপাশি এই কলেজের মূল লক্ষ হলো সু-নাগরিক গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, শুধুভাল ফলাফলেই নয়। প্রতি বছরের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আদমজীর শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে। তারা ভাল করছে। এতে প্রমানিত হয় যে, আমাদের কলেজের শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, যারা যে বিষয়ে ভর্তি হতে চায় সেই বিষয়ে জানা এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে যে সব বিষয় শিখেছে তা আবারো ভালভাবে রিভিশন দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে গেলে তারা ভাল করবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ঝরে পড়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তুকের পাশাপাশি যদি অন্য বই পড়ে এবং নিজেকে উপস্থাপনের বিষয় রপ্ত করে তবে এই ছেলে-মেয়েরা অনেক ভাল করতে পারবে।

এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৩৮৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে ১০৫৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ কলেজের পাশে হার ৯৯.৯৩ ভাগ। তবে ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। এই অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ছাড়া পাশের হার শতভাগ বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৯৪ জন্য এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৩৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আদমজীর সাফল্যের পেছনে রয়েছে তিন স্তরের চেষ্টা: অধ্যক্ষ

আপডেট টাইম : ০১:১৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০১৫

এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। এই কলেজের এক হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক হাজার ৫৭ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটির পাশের হার ৯৯.৯৩ ভাগ। একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় কলেজটি শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের খেতাবটি পায়নি বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ সাফল্যের পেছনে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকেই কৃতিত্ব দেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তামিম আহমেদ চৌধুরী। আজ ফলাফল প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কলেজে প্রায় শতভাগ পাশ করেছে। ১৩৮৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০৫৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশে হার ৯৯.৯৩ ভাগ।

তামিম আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য আমরা সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এছাড়া কারা ভাল করছে এবং কারা দুর্বল শিক্ষার্থী তাদের আমরা আলাদা করে ফেলি। যারা ভাল তারা উপরের সেকশনে থাকে। আর যারা একটু দুর্বল তারা শেষের দিকের সেকশনে থাকে। দুর্বলদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের অসুবিধাগুলো অভিভাবকদের জানানো হয়। এভাবে তিন স্তরের চেষ্ঠা তথা ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ভাল ফলাফল সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক সম্মিলিতভাবে কাজ করার চেষ্ঠা করি। সকল ক্ষেত্রে আমরা অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করি। ছাত্র/ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করি।

অধ্যক্ষ বলেন, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজ। কলেজটি সেনাবাহিনী দারা পরিচালিত হয়। এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। গত বছর এই কলেজ ঢাকা বোর্ডের অধীনে তৃতীয় স্থান অধীকার করেছিল। এবার যদিও অফিসিয়ালি পজিশন দেওয়া হয়নি। তবে ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারি, যদি এবারে পজিশন দেওয়া হতো তবে এই কলেজটি অন্যতম শীর্ষ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেত। কলেজের মূলমন্ত্র হচ্ছে শিক্ষা, শৃৃঙ্খলা ও নৈতিকতা। এই তিনটি মূলমন্ত্রের উপর ভিত্তি করে এই কলেজ পরিচালিত হয়। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলার উপর অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাল ফলাফলের পাশাপাশি এই কলেজের মূল লক্ষ হলো সু-নাগরিক গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, শুধুভাল ফলাফলেই নয়। প্রতি বছরের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আদমজীর শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে। তারা ভাল করছে। এতে প্রমানিত হয় যে, আমাদের কলেজের শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, যারা যে বিষয়ে ভর্তি হতে চায় সেই বিষয়ে জানা এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে যে সব বিষয় শিখেছে তা আবারো ভালভাবে রিভিশন দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে গেলে তারা ভাল করবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ঝরে পড়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তুকের পাশাপাশি যদি অন্য বই পড়ে এবং নিজেকে উপস্থাপনের বিষয় রপ্ত করে তবে এই ছেলে-মেয়েরা অনেক ভাল করতে পারবে।

এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৩৮৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে ১০৫৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ কলেজের পাশে হার ৯৯.৯৩ ভাগ। তবে ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। এই অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ছাড়া পাশের হার শতভাগ বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৯৪ জন্য এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৩৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।