ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবার কারণে ক্যাটরিনার কোনওদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭
  • ২৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সদ্য চৌত্রিশ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন তিনি। বাইরে অপরূপ রূপের অধার হলেও ভিতরে ভিতরে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন বারবার। জীবনের ভিত যেখান থেকে শুরু হয়‚ সেই শৈশবই ছিল ঝড় ঝাপটায় টলমল। তিনি ক্যাটরিনা কাইফ।

১। ১৯৮৩-র ১৬ জুলাই জন্ম হংকং-এ। বাবা ব্যবসায়ী মহম্মদ কাইফ কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত। কিন্তু ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। মা সুজান টারকোট্টে ব্রিটিশ আইনজীবী ও সমাজকর্মী।

২। ক্যাটের শৈশবে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বাবা মায়ের। তাঁদের ছেড়ে বাবা চলে যান আমেরিকায়। ক্যাটরিনা বড় হন সাত ভাইবোনের সঙ্গে। বাবার স্মৃতি বলতে কিছুই নেই। জীবনে মা-ই সব। বাবার প্রভাবও নেই বিন্দুমাত্র।

৩। ছোটবেলায় দেখতেন বন্ধুরা আনন্দ করছে বাবার সঙ্গে। খুব কষ্ট পেতেন। মনে হতো‚ তার জীবনেও যদি এরকমও হতো…মায়ের কথায় চোখের জল মুছতেন। ভাবতেন‚ তাঁরও তো কত কিছু আছে। যা অন্যদের নেই। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন তিনি।

৪। হংকং থেকে চিন। তারপর জাপান‚ ফ্রান্স‚ সুইৎজারল্যান্ড‚ পোল্যান্ড হয়ে ইংল্যান্ডে লন্ডনে এসে থিতু হন ক্যাটের মা। ফলে নায়িকার শৈশব কেটেছে বিশ্বের নানা দেশ ঘুরে।

৫। এই ভবঘুরের মতো জীবনে ক্যাট এবং তাঁর ভাই বোনেরা কেউ স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পড়াশোনা হোম স্কুলিং এবং করেসপন্ডেন্স কোর্সে। লন্ডনে কয়েক বছর কাটিয়ে ক্যাট চলে আসেন ভারতের মুম্বইয়ে। মডেলিং-সিনেমায় কেরিয়ার করবেন বলে।

৮। তবে ক্যাটের অস্বচ্ছ পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এখনও। বলিউডে নবাগতা ক্যাটরিনা ব্যবহার করতেন মায়ের পদবী। প্রযোজক আয়েষা শ্রফ জানিয়েছেন‚ ওই পদবী তাঁরাই পাল্টে দেন। কারণ ভারতীয় মহলে ওই পদবী উচ্চারণ কঠিন হতো।

৭। প্রথমে তাঁকে কাজী পদবী দেওয়া হবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এতে ধর্মীয় ভাবাবেগ আহত হতে পারে বলে বেছে নেওয়া হয় কাইফ পদবী। তারপরেই নাকি ক্যাটরিনা বলতে থাকেন তাঁর বাবা ছিলেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত। পরে এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ক্যাট। বলেন‚ আয়েষার এই কথায় তিনি আহত।

৮। দুর্বল হিন্দি উচ্চারণের জন্য ব্যাহত হয় ক্যাটের বলিউডি কেরিয়ার। উচ্চারণ শোধরাতে ও হিন্দি শিখতে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন তিনি।

৯। ব্রিটিশ নাগরিক ক্যাটরিনা ভারতে থাকেন ও কাজ করেন ভিসায়। এই দেশে নেই তাঁর নামে বাড়িও। তবে লন্ডনে সম্পত্তি আছে।

১০। বাবাকে না পাওয়ায় ছোট থেকেই শিখেছেন দায়িত্ব নিতে। নায়িকা হওয়ার পরেও মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ক্যাটরিনা।

১১। এনডোর্সমেন্টের দিক দিয়ে বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে তিনি একজন। প্রতিটা এনডোর্সমেন্ট থেকে তিনি প্রায় ৫০ মিলিয়ন থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। তাঁর বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার।

১২। তাঁর চেহারার অনুকরণে বার্বি ডল বানিয়েছে ম্যাটেল। অষ্টম বলিউড তারকা হিসেবে তাঁর মূর্তি স্থান পেয়েছে লন্ডনে মাদাম তুসোর মোম মিউজিয়ামে।

১৩ তাঁর মা সুজান সক্রিয় সমাজকর্মী। ক্যাটও মায়ের সংস্থায় নিয়মিত সাহায্য করেন।

১৪। মুসলিম বাবা এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মায়ের সন্তান ক্যাটরিনা ছোট থেকেই ঈশ্বরভক্ত। তিনি উদার এবং সর্বধর্মসহিষ্ণু। ছবি মুক্তির আগে শ্রদ্ধা জানাতে যান মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির‚ মাউন্ট মেরি চার্চ এবং সুফী তীর্থস্থান দরগা শরিফে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবার কারণে ক্যাটরিনার কোনওদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি

আপডেট টাইম : ০৬:২৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সদ্য চৌত্রিশ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন তিনি। বাইরে অপরূপ রূপের অধার হলেও ভিতরে ভিতরে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন বারবার। জীবনের ভিত যেখান থেকে শুরু হয়‚ সেই শৈশবই ছিল ঝড় ঝাপটায় টলমল। তিনি ক্যাটরিনা কাইফ।

১। ১৯৮৩-র ১৬ জুলাই জন্ম হংকং-এ। বাবা ব্যবসায়ী মহম্মদ কাইফ কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত। কিন্তু ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। মা সুজান টারকোট্টে ব্রিটিশ আইনজীবী ও সমাজকর্মী।

২। ক্যাটের শৈশবে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বাবা মায়ের। তাঁদের ছেড়ে বাবা চলে যান আমেরিকায়। ক্যাটরিনা বড় হন সাত ভাইবোনের সঙ্গে। বাবার স্মৃতি বলতে কিছুই নেই। জীবনে মা-ই সব। বাবার প্রভাবও নেই বিন্দুমাত্র।

৩। ছোটবেলায় দেখতেন বন্ধুরা আনন্দ করছে বাবার সঙ্গে। খুব কষ্ট পেতেন। মনে হতো‚ তার জীবনেও যদি এরকমও হতো…মায়ের কথায় চোখের জল মুছতেন। ভাবতেন‚ তাঁরও তো কত কিছু আছে। যা অন্যদের নেই। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন তিনি।

৪। হংকং থেকে চিন। তারপর জাপান‚ ফ্রান্স‚ সুইৎজারল্যান্ড‚ পোল্যান্ড হয়ে ইংল্যান্ডে লন্ডনে এসে থিতু হন ক্যাটের মা। ফলে নায়িকার শৈশব কেটেছে বিশ্বের নানা দেশ ঘুরে।

৫। এই ভবঘুরের মতো জীবনে ক্যাট এবং তাঁর ভাই বোনেরা কেউ স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পড়াশোনা হোম স্কুলিং এবং করেসপন্ডেন্স কোর্সে। লন্ডনে কয়েক বছর কাটিয়ে ক্যাট চলে আসেন ভারতের মুম্বইয়ে। মডেলিং-সিনেমায় কেরিয়ার করবেন বলে।

৮। তবে ক্যাটের অস্বচ্ছ পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এখনও। বলিউডে নবাগতা ক্যাটরিনা ব্যবহার করতেন মায়ের পদবী। প্রযোজক আয়েষা শ্রফ জানিয়েছেন‚ ওই পদবী তাঁরাই পাল্টে দেন। কারণ ভারতীয় মহলে ওই পদবী উচ্চারণ কঠিন হতো।

৭। প্রথমে তাঁকে কাজী পদবী দেওয়া হবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এতে ধর্মীয় ভাবাবেগ আহত হতে পারে বলে বেছে নেওয়া হয় কাইফ পদবী। তারপরেই নাকি ক্যাটরিনা বলতে থাকেন তাঁর বাবা ছিলেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত। পরে এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ক্যাট। বলেন‚ আয়েষার এই কথায় তিনি আহত।

৮। দুর্বল হিন্দি উচ্চারণের জন্য ব্যাহত হয় ক্যাটের বলিউডি কেরিয়ার। উচ্চারণ শোধরাতে ও হিন্দি শিখতে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন তিনি।

৯। ব্রিটিশ নাগরিক ক্যাটরিনা ভারতে থাকেন ও কাজ করেন ভিসায়। এই দেশে নেই তাঁর নামে বাড়িও। তবে লন্ডনে সম্পত্তি আছে।

১০। বাবাকে না পাওয়ায় ছোট থেকেই শিখেছেন দায়িত্ব নিতে। নায়িকা হওয়ার পরেও মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ক্যাটরিনা।

১১। এনডোর্সমেন্টের দিক দিয়ে বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে তিনি একজন। প্রতিটা এনডোর্সমেন্ট থেকে তিনি প্রায় ৫০ মিলিয়ন থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। তাঁর বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার।

১২। তাঁর চেহারার অনুকরণে বার্বি ডল বানিয়েছে ম্যাটেল। অষ্টম বলিউড তারকা হিসেবে তাঁর মূর্তি স্থান পেয়েছে লন্ডনে মাদাম তুসোর মোম মিউজিয়ামে।

১৩ তাঁর মা সুজান সক্রিয় সমাজকর্মী। ক্যাটও মায়ের সংস্থায় নিয়মিত সাহায্য করেন।

১৪। মুসলিম বাবা এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মায়ের সন্তান ক্যাটরিনা ছোট থেকেই ঈশ্বরভক্ত। তিনি উদার এবং সর্বধর্মসহিষ্ণু। ছবি মুক্তির আগে শ্রদ্ধা জানাতে যান মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির‚ মাউন্ট মেরি চার্চ এবং সুফী তীর্থস্থান দরগা শরিফে।