গরু ও মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি রপ্তানিতে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ অমাস্যুম এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের নেতারা এই পণ্য রপ্তানিতে সরকারি সহায়তার হার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি রমাকান্ত মজুমদার বলেন, “গরু মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি, জননেন্দ্রীয় ইত্যাদি আমাদের দেশে অনেকেই খায় না। কোনো কাজে না লাগায় গরু মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি যত্র-তত্র ফেলায় তা পরিবেশ দূষণ করে।
“আমাদের দেশের মানুষ না খেলেও চীন, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে গরু ও মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি ‘অমাস্যুম’ নামে পরিচিত, যা সেখানে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। সরকারের সহায়তায় আমরা এ পণ্য রপ্তানি করে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি।”
পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচতে ২০০২ সাল থেকে সরকার গরু মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি, জননেন্দ্রীয় ইত্যাদি রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি।
রমাকান্ত মজুমদার বলেন, এ বছরের ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের এক সার্কুলারে এ খাতের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে, যা এ ব্যবসাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
“পরিবেশ রক্ষা করার পাশাপাশি এ খাতে জড়িত লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা রক্ষা করতে গরু ও মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হোক।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস ও সহ-সভাপতি মো. তালহা।