হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাই সিনেমার সর্বকালের সেরা জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় প্রয়াত সালমান শাহকে। তিনি গত হয়েছেন প্রায় ২১ বছর হল। এখনও কোনো দিক থেকেই তার ধারের কাছেও নেই বর্তমানের সেরা জনপ্রিয় শাকিব খান। মৃত্যুর ২১ বছর পরও অভিনয়, জনপ্রিয়তা, ছবির আয়ের রেকর্ড সবকিছুতেই শাকিব খানকে ছাড়িয়ে অনেক দূরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ।
সম্প্রতি তালিকা করা হয়েছে সাফল্য ও আয়ের দিক থেকে সর্বকালের সেরা ১০টি বাংলা সিনেমার। যার তিনটিই সিনেমা জগতের কোটি কোটি ভক্তের প্রাণের নায়ক সালমান শাহ অভিনীত। সেরা দশে শাকিব খানেরও আছে দুটি সিনেমা। কিন্তু জনপ্রিয়তা, সাফল্য ও আয়ের দিক সিনেমা দুটি সালমান শাহের তিনটি থেকে অনেক দূরে।
বাংলা সিনেমার ৬০ বছরের ইতিহাসে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার মধ্যে সবার উপরে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’। তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ১৯৮৯ সালের ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমাটি ওই সময় ১২০০ হলে প্রদর্শিত হয়। আর আয় করে রেকর্ড ২০ কোটি টাকা। যে রেকর্ড ভাঙতে পারেনি এখনও কোনো সিনেমা। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষ।
সেরা দশের তালিকার এর পরের তিনটি সিনেমাই প্রয়াত সালমান শাহের। নব্বইয়ের দশকের নায়ক সালমান শাহ অভিনীত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিনেমাটি আয় করে ১৯ কোটি টাকা। এর পর ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘সত্যের মৃত্যু নাই’। সিনেমাটি মুক্তি পায় সালমান শাহের মৃত্যুর পর। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিনেমাটি আয় করে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সেরা দশের চতুর্থ অবস্থানেও আছেন সালমান শাহ্। ঢাকাই সিনেমার ‘প্রিয়দর্শিনী’ মৌসুমীর সঙ্গে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় তার। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ছবিটি আয় করে ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পান মৌসুমীও। জুটি হিসেবেও বেশ প্রসংশিত হন মৌসুমী-সালমান।
অন্যদিকে সেরা দশের তালিকায় শাকিব খানের দুটি সিনেমা থাকলেও সাফল্য ও আয়ের দিক থেকে সেগুলো সালমানের অনেক নিচে। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘শিকারি’। তালিকার আট নম্বরে থাকা জাজ মাল্টিমিডিয়ার এ সিনেমাটি আয় করে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তালিকার দশে থাকা শাকিব খানের অন্য সিনেমাটি ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত সিনেমাটির আয় ৫ কোটি টাকা।
৯০ এর দশক এবং তারও আগে মানুষ কেবল হলে গিয়েই সিনেমা দেখার সুযোগ পেত। আর ছিল ভিসিআরের ক্যাসেট। অন্যদিকে এখন মুক্তির আগেই দেখা যায় সিনেমা, রয়েছে দেখারও অসংখ্য মাধ্যম। সেই হিসেবে ভার্চুয়াল জগতের সালমান শাহের কাছে আজও বিরাট ব্যবধানে পরাজিত থ্রিজি জগতের শাকিব খান। ২১ বছর আগে প্রয়াত হলেও আজও তিনি বেঁচে আছেন অসংখ্য ভক্তের হৃদয় জুড়ে। থাকবেন চিরকাল।