ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি কার্যকর, প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হেফাজত আমির ‘ভারতের কোনো ফাঁদে পা দেবেন না গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে মদনে স্মরণ সভা মানব কল্যাণ ও সমাজ সেবায় অবদান রাখায় ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন নাসির উদ্দিন ভুইঁয়া কুমিল্লায় ট্রেনের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬ ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরই নির্বাচন: ধর্ম উপদেষ্টা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বলল ভারত আড়াই বছর কোনোভাবেই বিয়ে করতে পারবেন না উর্বশী! কলমাকান্দায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু মৃগীরোগের লক্ষণগুলো জেনে রাখা ভালো

বাংলা সিনেমায় কি অশ্লীলতা ফিরে এসেছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
  • ৩৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বিজ্ঞাপনের কল্যাণে সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। একই নামে নির্মিত সিনেমায় আইটেম গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’, যার ভিডিও প্রকাশে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’ মুক্তি পাচ্ছে ২৮ জুলাই। বেশ আগে প্রকাশ হয়েছে ট্রেলার। ওই সময় সিনেমাটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বিতর্ক চড়িয়ে দিয়েছে আইটেম গান। অনেকের প্রশ্ন, বাংলা সিনেমায় আবারো কি অশ্লীলতা ফিরে এসেছে?

বেশ ঝলমলে সেটে ধারণ করা গানটিতে অংশ নিয়েছেন জেফ ও তিথি। খোলামেলা পোশাকে নায়িকা ও অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে গানটি ধারণ করা হয়েছে। গানটির সংগীতায়োজনেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন জুঁই। সংগীত করেছেন জাভেদ আহমেদ কিসলু। উল্লেখ নেই গীতিকার ও সুরকার নূরুল ইসলামের নাম।

ক্লাসিক গানটির এমন নির্মাণ দেখে আশাহত হয়েছে অনেকেই। ইউটিউব ও ফেসবুকের মন্তব্যের ঘরে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে সেটি স্পষ্ট। অনেকে আবার সেন্সরের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন।
তবে অশ্লীলতার অভিযোগ মানতে নারাজ নির্মাতা জসিম।

তিনি জানান, পোস্টার বা আইটেম গান দেখে সিনেমাটিকে অশ্লীল বলা ঠিক হচ্ছে না। বরং মৌলিক গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। দর্শক খুশি মনেই সিনেমা দেখে হল থেকে বের হবেন।

এদিকে সপ্তাহখানেক আগে অনলাইনে প্রকাশ হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা ‘নূর জাহান’র গান ‘সোনা বন্ধু’। ওই গানটি নিয়েও সমালোচনা ওঠেছে। এতে আবদুল গফুর হালীর বিখ্যাত গান ‘সোনা বন্ধু’র প্রথম কয়েকটি লাইন ও সুর ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর জুড়ে দেওয়া হয়েছে নতুন কথা। গানটির গায়কী ও সংগীতায়োজনও অপছন্দ করেছেন শ্রোতারা। প্রতিবাদ করেছেন গফুর হালীর গান নিয়ে কাজ করছেন এমন অনেকে।

সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে— পুরনো গানের নতুন ভার্সন মধু হয়ে নয়, বিষ হয়ে ঢুকছে শ্রোতাদের কানে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি কার্যকর, প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

বাংলা সিনেমায় কি অশ্লীলতা ফিরে এসেছে

আপডেট টাইম : ০৭:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বিজ্ঞাপনের কল্যাণে সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। একই নামে নির্মিত সিনেমায় আইটেম গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’, যার ভিডিও প্রকাশে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’ মুক্তি পাচ্ছে ২৮ জুলাই। বেশ আগে প্রকাশ হয়েছে ট্রেলার। ওই সময় সিনেমাটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বিতর্ক চড়িয়ে দিয়েছে আইটেম গান। অনেকের প্রশ্ন, বাংলা সিনেমায় আবারো কি অশ্লীলতা ফিরে এসেছে?

বেশ ঝলমলে সেটে ধারণ করা গানটিতে অংশ নিয়েছেন জেফ ও তিথি। খোলামেলা পোশাকে নায়িকা ও অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে গানটি ধারণ করা হয়েছে। গানটির সংগীতায়োজনেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন জুঁই। সংগীত করেছেন জাভেদ আহমেদ কিসলু। উল্লেখ নেই গীতিকার ও সুরকার নূরুল ইসলামের নাম।

ক্লাসিক গানটির এমন নির্মাণ দেখে আশাহত হয়েছে অনেকেই। ইউটিউব ও ফেসবুকের মন্তব্যের ঘরে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে সেটি স্পষ্ট। অনেকে আবার সেন্সরের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন।
তবে অশ্লীলতার অভিযোগ মানতে নারাজ নির্মাতা জসিম।

তিনি জানান, পোস্টার বা আইটেম গান দেখে সিনেমাটিকে অশ্লীল বলা ঠিক হচ্ছে না। বরং মৌলিক গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। দর্শক খুশি মনেই সিনেমা দেখে হল থেকে বের হবেন।

এদিকে সপ্তাহখানেক আগে অনলাইনে প্রকাশ হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা ‘নূর জাহান’র গান ‘সোনা বন্ধু’। ওই গানটি নিয়েও সমালোচনা ওঠেছে। এতে আবদুল গফুর হালীর বিখ্যাত গান ‘সোনা বন্ধু’র প্রথম কয়েকটি লাইন ও সুর ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর জুড়ে দেওয়া হয়েছে নতুন কথা। গানটির গায়কী ও সংগীতায়োজনও অপছন্দ করেছেন শ্রোতারা। প্রতিবাদ করেছেন গফুর হালীর গান নিয়ে কাজ করছেন এমন অনেকে।

সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে— পুরনো গানের নতুন ভার্সন মধু হয়ে নয়, বিষ হয়ে ঢুকছে শ্রোতাদের কানে।