জাম। গ্রীষ্মকালীন ফল। জামের পাশাপাশি গোলাপ জামও অধিক জনপ্রিয়। এটি টক ফল হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে সাধারণ জামের চেয়ে গোলাপ জাম একটু কম টক। সাধারণ জাম খেতে কিছুটা শক্ত ও কষ।
বিচির তুলনায় ভক্ষণযোগ্য অংশ পরিমাণে কম। কিন্তু গোলাপ জাম কিছুটা টক-মিষ্টি স্বাদের। এর চাহিদা বেশি। বিচির তুলনায় খাওয়া বা ভক্ষণযোগ্য অংশ পরিমাণে বেশি। তাই সাশ্রয়ীও।
প্রতি ১০০ গ্রাম কালোজামে থাকে প্রায় ৮৪ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। গোলাপ জামের প্রতিটিতে রয়েছে প্রায় ৪০ কিলোক্যালরি। তাই ফলটি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর।
প্রতি ১০০ গ্রাম জামে আছে আমিষ, শ্বেতসার, খনিজ লবণ, স্নেহ, ভিটামিন বি-এ, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন-সি, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম আয়রণ, ক্যারোটিন ও ফসফরাস। কালোজামের রস শরীরে রক্ত বাড়ায়। মুখের রুচি বাড়ায়। হজমশক্তিও বাড়ে।
তাছাড়া মুখে জ্বরঠুসা হলে তা দ্রুত সারায় জাম ও গোলাপ জাম। সব ধরনের জামই হাড় ও দাঁতের শক্তি বাড়ায়। ত্বক ও চুলের পুষ্টিবৃদ্ধির জন্যও অনন্য জাম। চোখের দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায় জাম।
ভেষজ ওষুধ তৈরিতে সব ধরনের জামের বিচির ব্যাপক ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, অরুচি, বদহজম, রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ওষুধ তৈরিতে জামের বিচি বা বীজ ব্যবহার করা হয়।