এক বছরে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমেছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। আর গত সাত বছরে বিভিন্ন সময়ে এ মূল্য কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সর্বস্তরের মানুষকে স্বপ্লমূল্যে এবং ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে প্রদত্ত ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে গত এক বছরে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম ৩০ শতাংশেরও বেশি কমানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে তা কমেছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।
বিভিন্ন অপারেটরের ডাটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত এক বছরে সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের প্রতি জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের গড় দাম ৫০ শতাংশ এবং বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের ব্যান্ডউইথ প্রতি জিবিপিএস মোবাইল ব্যান্ডউইথের গড় দাম ৫৬ শতাংশের বেশি কমেছে।
গত ৭ বছরে বিভিন্ন সময়ে এ দাম কমার হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। দেশে ইন্টারনেট সেবা সুলভ ও সাশ্রয়ী করার জন্য বিগত ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাত দফায় প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ চার্জ কমানো হয়েছে।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে ব্যান্ডউইথ দাম কমানো হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা, ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ১৮ হাজার টাকা, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১২ হাজার টাকা একই বছরের আগস্টে কমানো হয় ১০ হাজার টাকা।
এছাড়া ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ৮ হাজার টাকা, ২০১৩ সালের এপ্রিলে কমেছে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২ হাজার ৮০০ টাকা কমানো হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
জানতে চাইলে বিটিআরসি-এর সচিব সরওযার আলম বাংলানিউজকে বলেন, ব্যান্ডউইথের মূল্য আরও কমাতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মোবাইল অপারেটরগুলো বিভিন্ন সময় তাদের ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়েছে উল্লেখযোঘ্য হারে।
এছাড়া অপারেটরগুলো বিটিআরসি’র নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত ব্যান্ডউইথ পরবর্তী মাসে ক্যারি ফরওয়ার্ড (আগের মাসের অব্যবহৃত ডাটা পরের মাসে একই প্যাকেজে যোগ হবে) করে , যার মেয়াদ থাকে ৬ মাস পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’র এক বৈঠকে ব্যান্ডউইথের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থের মধ্যে রাখতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর পর পরই বিগত বছরগুলোতে মূল্য কমানোর পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বিটিআরসি।