হাওর বার্তা ডেস্কঃ দশম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ (বাজেট) অধিবেশনে গৃহীত চার বিলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সই করেছেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বিল চারটি আইনে পরিণত হলো।
এরপর গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইন চারটি কার্যকর হবে। বিলগুলো হলো- বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭; বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৭; বেসামরিক বিমান চলাচল বিল-২০১৭ এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭।
বুধবার সংসদ সচিবালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিল পাসের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত ১০ জুলাই জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ (বাজেট) অধিবেশনে পাটের উন্নত জাতের উদ্ভাবন, উৎপাদন সহজীকরণ ও বহুমুখী ব্যবহারে প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা পরিচালনায় ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭ পাস হয়। বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ১৯৭৪ রহিত করা হয়েছে। তবে এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা বিলের বিধানের অধীন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিলে ইনস্টিটিউটের ৯টি সুনির্দিষ্ট কার্যাবলি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
গত ১১ জুলাই বাজেট অধিবেশনে অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম দুই কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল বিল-২০১৭’ পাস হয়। এ ছাড়া নীতিমালা না মেনে বিমান চালাচলে কমপক্ষে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
একই দিনে যানজট নিরসনে মোটরযান ও গণপরিবহনের সংখ্যা নির্ধারণ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৭ পাস করা হয়েছে। বিলে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন ইত্যাদি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দ্রুত ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর একদিন পর গত ১২ জুলাই জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পাস হয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭। এ আইনের আলোকে প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য গবেষণা করবে। বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ইনস্টিটিউট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত থাকবে।