ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে : আইজিপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০১৫
  • ৫৩৫ বার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে ইন্টারপোলকে জানাবো। আগামি ১৫ আগস্ট জাতি বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনকে সামনে রেখে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন কৃতজ্ঞ জাতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনির মধ্যে ৬ জনের অবস্থান জানতে এবং তাদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবো। তিনি বলেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের মধ্যে সাবেক লে. কর্নেল নূর চৌধুরী কানাডায় এবং লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ৬ ঘাতককে ফিরিয়ে আনতে আইনগত ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। যেখানেই থাকুক সেখান থেকে তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে খুনীদের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছে সরকার।
আইজিপি আরো বলেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি টাস্কফোর্স এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে যাতে খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা যায়।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী খুনীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
অন্যান্য খুনিরা হচ্ছে লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল আজিজ পাশা। পুলিশ ও কর্মকর্তারা ইতোপূর্বে জানিয়েছেন, এসব খুনী গ্রেপ্তার এড়াতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পালিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সরকার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা নবায়ন করে সরকার।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যার দায়ে সেনাবাহিনীর সাবেক ১২ জন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৫ জনকে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাঁসি দেয়া হয়। এরা হচ্ছে লে. কর্নেল ফারুকুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), শাহরিয়ার রশিদ খান, এ কে এম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) ও মেজর বজলুল হুদা।
বজলুল হুদাকে ব্যাংকক থেকে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে : আইজিপি

আপডেট টাইম : ১১:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০১৫

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে ইন্টারপোলকে জানাবো। আগামি ১৫ আগস্ট জাতি বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনকে সামনে রেখে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন কৃতজ্ঞ জাতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনির মধ্যে ৬ জনের অবস্থান জানতে এবং তাদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবো। তিনি বলেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের মধ্যে সাবেক লে. কর্নেল নূর চৌধুরী কানাডায় এবং লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ৬ ঘাতককে ফিরিয়ে আনতে আইনগত ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। যেখানেই থাকুক সেখান থেকে তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে খুনীদের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছে সরকার।
আইজিপি আরো বলেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি টাস্কফোর্স এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে যাতে খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা যায়।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী খুনীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
অন্যান্য খুনিরা হচ্ছে লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল আজিজ পাশা। পুলিশ ও কর্মকর্তারা ইতোপূর্বে জানিয়েছেন, এসব খুনী গ্রেপ্তার এড়াতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পালিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সরকার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা নবায়ন করে সরকার।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যার দায়ে সেনাবাহিনীর সাবেক ১২ জন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৫ জনকে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাঁসি দেয়া হয়। এরা হচ্ছে লে. কর্নেল ফারুকুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), শাহরিয়ার রশিদ খান, এ কে এম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) ও মেজর বজলুল হুদা।
বজলুল হুদাকে ব্যাংকক থেকে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হয়।