হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা ও ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ রূপা গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে জানা যায়, ধর্ষণ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন রূপা গাঙ্গুলি। গত শুক্রবার তিনি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাদের স্ত্রী ও কন্যাকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হোক। যদি তারা সেখানে ধর্ষণের শিকার না হয়ে ১৫ দিনের বেশি টিকতে পারে, তা হলে আমাকে এসে বলুক।’
রূপার এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। রূপাকেই আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুরো রাজ্যকে দোষারোপ করার আগে রূপা গাঙ্গুলির বলা উচিত, তিনি কতবার পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তা হলেই তার বক্তব্যের সত্যতা বোঝা যাবে।’
পিটিআইয়ের খবর বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য বিজেপির প্রেসিডেন্ট দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও পুলিশ তদন্ত করছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে গত মাসে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ৩ নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শুরু হয়েছে।
বিজেপির এক নেতার বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আজ্ঞাবাহী হিসেবে পুলিশ কাজ করছে।
একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগদানকারী রাজনৈতিক নেতা রূপা গাঙ্গুলিও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র মরে গেছে।
এএনআই সংবাদ সংস্থা অনুসারে, বিজেপি রূপা গাঙ্গুলির বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।