শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ছোট ও খাটো করে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। আজ বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্র ও সমাজে যার যে প্রাপ্য তাকে সে সম্মান দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করছি। কারণ সদাচরণের মধ্য দিয়েই সদাচরণের প্রত্যাশা করা যায়। আমরা চাই যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের মধ্যে বিতর্ক আছে, সেগুলো দূর হোক। এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে যে বিতর্ক আছে সেসব ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিৎ বলে বিএনপি মনে করে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যের একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু জিয়াউর রহমানকে লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে তোলনা করে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে রিপন বলেন, লর্ড ক্লাইভ ছিলেন নবাব সিরাজ উদ দৌলার শাসন আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি। যার চরিত্র ছিল মীর জাফরের মতো। কিন্তু আমি বলতে চাই, স্বাধীনতার পর যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করে গণবাহিনীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত করে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল তারাও কি তাহলে মীর জাফর?
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বাংলাদেশের আইন বর্তমানে দুটি স্রোতে বইছে। ক্ষমতাসীনদের জন্য আলাদা আইন এবং বিএনপির জন্য আলাদা আইন। বিচারহীনতার এ রাজনীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। না হলে দেশে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দিন দিন বাড়বে। তিনি বলেন, বর্তমান আইনের ওপর আমরা বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারছি না। কারণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলা মাসের পর মাস ধরে চালানো হচ্ছে। নতুন বিচারক এসে সে মামলা আবার নতুন করে চালু করছেন, অথচ বেগম খালেদা জিয়ার মামলা দ্রুত শেষ করতে চাচ্ছে সরকার।
শোকের মাসে জন্মদিন পালন না করতে খালেদা জিয়ার প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের আহ্বান জানানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, একটি চেয়ারপারসনের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় । তবে তিনি নিজ উদ্যোগে কখনো নিজের জন্মদিন পালন করেন না। আর এ বিষয়ে ক্ষমতাসীনরা কথা বলতে পারেন, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু অন্য বিষয়ে কথা বলতে আপত্তি আছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।