ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরিচের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ৩৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় খুশি ফরিদপুর অঞ্চলের চাষীরা। তবে অতি বৃষ্টির কারণে গাছ মরে যাওয়ার আশংখা করছে চাষীরা। মরিচ গাছে পানি সহনশীল কোন জাত উদ্ভাবন করা গেলে আরও বেশী লাভবান হবেন বলে মনে করছেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকেরা এখন মরিচ চাষ করছে। এতে বড়ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অল্প বৃষ্টিতে মরিচ গাছের কোন ক্ষতি হবে না।

ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর ব্যাপক ভাবে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় কম-বেশি মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। তবে জেলার সবচেয়ে বেশী মরিচের আবাদ হয়ে থাকে মধুখালী উপজেলার বেশীর ভাগ জমিতে। মধুখালী উপজেলার মাঠগুলেতে এখন মরিচের ক্ষেতের সবুজের সমারহ। যেদিকে তাকাই শুধু মরিচ ক্ষেত চোখে পড়ে। মধুখালী উপজেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারই মরিচের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

প্রতিবছর খরিপ-১ মৌসুমে মরিচের আবাদ করে এ উপজেলার চাষীরা যথেষ্ট লাভবান হয়। মরিচের টাকায় ছয় মাস চলে তাদের। তবে চলতি বছর অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে গাছের গোড়ায় দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমে থাকায় অনেক জমির গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে চাষীরা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এই ভাবে বৃষ্টি অব্যহত থাকলে মরিচ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশংখা করছেন তাঁরা।

চলতি বছর ফরিদপুর জেলা প্রায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মধুখালী উপজেলাতে আবাদ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছর একটু আগেভাগেই মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে মরিচের চারা রোপণ করেছে চাষীরা। আর চারা রোপণের দেড় মাসের মাথায় মরিচ তুলা শুরু করেছে। এক বিঘা (৩৩শতাংশ) জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার মূল্য ঠিক থাকলে একবিঘা জমির মরিচ বিক্রি করতে পারবেন ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকা।

মধুখালী বাজারে মরিচ ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, মধুখালী উপজেলার উৎপাদিত মরিচের গুণগত মান অনেক ভাল। আর সে কারণে প্রতিদিন ট্রাক যোগে মধুখালী থেকে মরিচ চলে যায় দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরের। এবছর মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। ফলে কৃষক ভালো দাম পাচ্ছে।

এদিকে মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদা পারভীন বলেন, চলতি বছর মধুখালী উপজেলায় বিগত বছরের চেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে মরিচের দামও ভালো পাচ্ছে চাষীরা। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষে থেকে চাষীদের আধুনিক চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে বীজ শোধণ, জৈব সার ব্যবহার ও বেড প্লান এর মাধ্যমে মরিচ চাষ করায় গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে পারে না আর এ কারেণেই বৃষ্টিতে গাছ মরার কোন কারণ নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মরিচের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ১১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় খুশি ফরিদপুর অঞ্চলের চাষীরা। তবে অতি বৃষ্টির কারণে গাছ মরে যাওয়ার আশংখা করছে চাষীরা। মরিচ গাছে পানি সহনশীল কোন জাত উদ্ভাবন করা গেলে আরও বেশী লাভবান হবেন বলে মনে করছেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকেরা এখন মরিচ চাষ করছে। এতে বড়ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অল্প বৃষ্টিতে মরিচ গাছের কোন ক্ষতি হবে না।

ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর ব্যাপক ভাবে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় কম-বেশি মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। তবে জেলার সবচেয়ে বেশী মরিচের আবাদ হয়ে থাকে মধুখালী উপজেলার বেশীর ভাগ জমিতে। মধুখালী উপজেলার মাঠগুলেতে এখন মরিচের ক্ষেতের সবুজের সমারহ। যেদিকে তাকাই শুধু মরিচ ক্ষেত চোখে পড়ে। মধুখালী উপজেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারই মরিচের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

প্রতিবছর খরিপ-১ মৌসুমে মরিচের আবাদ করে এ উপজেলার চাষীরা যথেষ্ট লাভবান হয়। মরিচের টাকায় ছয় মাস চলে তাদের। তবে চলতি বছর অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে গাছের গোড়ায় দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমে থাকায় অনেক জমির গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে চাষীরা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এই ভাবে বৃষ্টি অব্যহত থাকলে মরিচ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশংখা করছেন তাঁরা।

চলতি বছর ফরিদপুর জেলা প্রায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মধুখালী উপজেলাতে আবাদ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছর একটু আগেভাগেই মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে মরিচের চারা রোপণ করেছে চাষীরা। আর চারা রোপণের দেড় মাসের মাথায় মরিচ তুলা শুরু করেছে। এক বিঘা (৩৩শতাংশ) জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার মূল্য ঠিক থাকলে একবিঘা জমির মরিচ বিক্রি করতে পারবেন ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকা।

মধুখালী বাজারে মরিচ ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, মধুখালী উপজেলার উৎপাদিত মরিচের গুণগত মান অনেক ভাল। আর সে কারণে প্রতিদিন ট্রাক যোগে মধুখালী থেকে মরিচ চলে যায় দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরের। এবছর মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। ফলে কৃষক ভালো দাম পাচ্ছে।

এদিকে মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদা পারভীন বলেন, চলতি বছর মধুখালী উপজেলায় বিগত বছরের চেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে মরিচের দামও ভালো পাচ্ছে চাষীরা। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষে থেকে চাষীদের আধুনিক চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে বীজ শোধণ, জৈব সার ব্যবহার ও বেড প্লান এর মাধ্যমে মরিচ চাষ করায় গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে পারে না আর এ কারেণেই বৃষ্টিতে গাছ মরার কোন কারণ নেই।