ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুষ্টিগুণে লটকন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ৩০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষা মৌসুমে সহজলভ্য ফলগুলোর একটি লকটন। দেখতে গোলাকার ও হলুদাভ এই ফলটি স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। ফলটি সরাসরি বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। টক-মিষ্টি মিশ্রিত এক স্বাদের ফল এটি।

লটকনকে ইংরেজিতে বার্মিজ গ্রেপ বলা হলেও বাংলায় এর বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। লটকন  বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এটি বুনো গাছ হিসেবে জন্মায়। আসুন স্বাদে পরিপূর্ণ এ ফলটির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ।

১.  প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

২. লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম করে। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরনো জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

৩.লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

৪.লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

৬. লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এ ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পুষ্টিগুণে লটকন

আপডেট টাইম : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষা মৌসুমে সহজলভ্য ফলগুলোর একটি লকটন। দেখতে গোলাকার ও হলুদাভ এই ফলটি স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। ফলটি সরাসরি বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। টক-মিষ্টি মিশ্রিত এক স্বাদের ফল এটি।

লটকনকে ইংরেজিতে বার্মিজ গ্রেপ বলা হলেও বাংলায় এর বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। লটকন  বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এটি বুনো গাছ হিসেবে জন্মায়। আসুন স্বাদে পরিপূর্ণ এ ফলটির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ।

১.  প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

২. লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম করে। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরনো জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

৩.লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

৪.লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

৬. লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এ ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ।