ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের রায়ে এরশাদ বৈধ রাষ্ট্রপতি : বাবলু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০১৫
  • ৫৩৭ বার

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, ‘আদালতের রায়েই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। মহামান্য আদালত রায়ে বলেছেন, ১৯৮৬ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এরশাদের শাসনামল বৈধ ছিল।’

উল্লেখ্য, আদালত ঘোষিত অবৈধ রাষ্ট্রপতিরা অবসরভাতা (পেনশন), আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধার যোগ্য হবেন না। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে যে রাষ্ট্রপতিরা এ সুবিধা নেননি তারা এর প্রাপ্য হবেন। এ বিধান রেখে ‘রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন, ২০১৫’-এর খসড়া সোমবার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এই আইনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু দ্য রিপোর্টকে এ সব কথা বলেন।

সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ দুই সেনা কর্মকর্তার শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

এ ছাড়া বিদ্যমান আইনে ১৯৮৮ সালের আগে রাষ্ট্রপতিদের জন্য অবসর সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলা হয়েছে। তাই এর আগের রাষ্ট্রপতিদের বিষয়ে নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো সাবেক রাষ্ট্রপতি জীবদ্দশায় অথবা তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীরা ইতোপূর্বে আনুতোষিক গ্রহণ না করলে এখন তা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসেন ভূঁইয়া।

এ বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাবলু বলেন, ‘যেখানে মহামান্য আদালত বলেছেন, ১৯৮৬ সাল থেকে এরশাদ সাহেবের শাসনামল বৈধ। সেখানে আদালতের নির্দেশনার বাইরে তো আর নতুন আইন হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত আদালত এরশাদ সাহেবের শাসনামলকে অবৈধ বলেছেন। এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করব না। কিন্তু আদালতের নির্দেশনার বাইরে নতুন আইন হতে পারে না। আদালতের আদেশ মতো এরশাদ সাহেব বৈধ রাষ্ট্রপতিই ছিলেন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আদালতের রায়ে এরশাদ বৈধ রাষ্ট্রপতি : বাবলু

আপডেট টাইম : ১২:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০১৫

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, ‘আদালতের রায়েই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। মহামান্য আদালত রায়ে বলেছেন, ১৯৮৬ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এরশাদের শাসনামল বৈধ ছিল।’

উল্লেখ্য, আদালত ঘোষিত অবৈধ রাষ্ট্রপতিরা অবসরভাতা (পেনশন), আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধার যোগ্য হবেন না। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে যে রাষ্ট্রপতিরা এ সুবিধা নেননি তারা এর প্রাপ্য হবেন। এ বিধান রেখে ‘রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন, ২০১৫’-এর খসড়া সোমবার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এই আইনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু দ্য রিপোর্টকে এ সব কথা বলেন।

সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ দুই সেনা কর্মকর্তার শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

এ ছাড়া বিদ্যমান আইনে ১৯৮৮ সালের আগে রাষ্ট্রপতিদের জন্য অবসর সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলা হয়েছে। তাই এর আগের রাষ্ট্রপতিদের বিষয়ে নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো সাবেক রাষ্ট্রপতি জীবদ্দশায় অথবা তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীরা ইতোপূর্বে আনুতোষিক গ্রহণ না করলে এখন তা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসেন ভূঁইয়া।

এ বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাবলু বলেন, ‘যেখানে মহামান্য আদালত বলেছেন, ১৯৮৬ সাল থেকে এরশাদ সাহেবের শাসনামল বৈধ। সেখানে আদালতের নির্দেশনার বাইরে তো আর নতুন আইন হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত আদালত এরশাদ সাহেবের শাসনামলকে অবৈধ বলেছেন। এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করব না। কিন্তু আদালতের নির্দেশনার বাইরে নতুন আইন হতে পারে না। আদালতের আদেশ মতো এরশাদ সাহেব বৈধ রাষ্ট্রপতিই ছিলেন।’