ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে এক কোটি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৪৩ বার

গত এক বছরে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক বেড়েছে প্রায় এক কোটি। ওই এক কোটি গ্রাহকের প্রায় সবাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার জুন মাস পর্যন্ত মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিটিআরসির হিসাব মতে, দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার। অন্যদিকে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা চার কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার। এর মধ্যে চার কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। বাকি এক লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক ওয়াইম্যাক্স এবং ১২ লাখ ৬৮ হাজার গ্রাহক আইএসপি ও পিএসটিএনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিটিআরসির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক বছরে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৮।

তথ্য অনুসারে, সিটিসেল বাদে সব মোবাইল কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার গ্রাহক বেড়ে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার।

এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রাহক বেড়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের। ৩১ লাখ ৫৪ হাজার গ্রাহক বেড়ে তাদের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ২২ লাখ ২৪ হাজার। এক বছরে তাদের গ্রাহক বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৬৪ হাজার।

এক বছরে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের গ্রাহক তিন লাখ ৯০ হাজার বেড়ে ৮৭ লাখ ৪৩ হাজারে পৌঁছেছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের গ্রাহক বেড়েছে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার। বর্তমান তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৪২ লাখ ১৬ হাজার।

অন্যদিকে সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। এক বছরে তাদের দুই লাখ পাঁচ হাজার গ্রাহক কমেছে। বর্তমানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৭ হাজার।

মোবাইল কোম্পানিগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিটিআরসি প্রতি মাসে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে এক কোটি

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০১৫

গত এক বছরে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক বেড়েছে প্রায় এক কোটি। ওই এক কোটি গ্রাহকের প্রায় সবাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার জুন মাস পর্যন্ত মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিটিআরসির হিসাব মতে, দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার। অন্যদিকে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা চার কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার। এর মধ্যে চার কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। বাকি এক লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক ওয়াইম্যাক্স এবং ১২ লাখ ৬৮ হাজার গ্রাহক আইএসপি ও পিএসটিএনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিটিআরসির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক বছরে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৮।

তথ্য অনুসারে, সিটিসেল বাদে সব মোবাইল কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার গ্রাহক বেড়ে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার।

এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রাহক বেড়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের। ৩১ লাখ ৫৪ হাজার গ্রাহক বেড়ে তাদের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ২২ লাখ ২৪ হাজার। এক বছরে তাদের গ্রাহক বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৬৪ হাজার।

এক বছরে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের গ্রাহক তিন লাখ ৯০ হাজার বেড়ে ৮৭ লাখ ৪৩ হাজারে পৌঁছেছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের গ্রাহক বেড়েছে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার। বর্তমান তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৪২ লাখ ১৬ হাজার।

অন্যদিকে সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। এক বছরে তাদের দুই লাখ পাঁচ হাজার গ্রাহক কমেছে। বর্তমানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৭ হাজার।

মোবাইল কোম্পানিগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিটিআরসি প্রতি মাসে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।