এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট (এনএফটিই)। গতকাল সকালে প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এনএফটিই’র নেতারা এ দাবি জানান। বর্তমান সরকারের সময়ে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হতে যাচ্ছে, যা ৩ আগস্ট মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক অনুমোদনের জন্য পেশ হতে পারে।
নতুন এই পে-স্কেলে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এনএফটিই’র প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কলেজ কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মো. আনসার আলী, কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা এ.কে.এম. আমিনুজ্জামান, তাহমিনা খানম, জাহানারা বেগম প্রমুখ। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হক বক্তব্যে সারাদেশের শিক্ষকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, আগামী সোমবার মন্ত্রিসভায় নতুন জাতীয় পে-স্কেল অনুমোদন হবে। এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৭, ২০০৫ ও ২০০৯ সালের নতুন জাতীয় পে-স্কেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই প্রথম আমরা বৈষম্যের শিকার হতে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সংবাদ দাবিতে 2 আগস্ট মানববন্ধন, মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা । মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের একই দিনে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি ও নির্ধারিত যোগ্যতার শর্ত পূরণকারীদের এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নতুন পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা।