সালাহ উদ্দিনকে কে বা কারা অপহরণ করেছিল তা কারো অজানা নয়। এটি একটি রাজনৈতিক অপহরণ ছিল এবং রাজনৈতিক ভাবেই এর সমাধান হয়েছে। সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী পূর্বেই আবেদন করেছিল জীবিত সালাহ উদ্দিনকে ফিরিয়ে দিলে তার পরিবার সব কিছু ভুলে যাবে এবং অপহরণ নিয়ে কোনো কথা তুলবে না। সেদিনই অনেকে আশাবাদী হয়েছিল জীবিত সালাহ উদ্দিনকে পাওয়া যাবে।
জীবিত সালাহ উদ্দিনকে ফেরত দিতে হলে যেভাবে দেওয়া দরকার সে ভাবেই দিতে অপহরণকারীরা কোনো ত্রুটি করে নাই। অপহরণকারীদের যোগ্যতা ও দায়িত্ব পালনের সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতা খুবই উচ্চমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় নিঃসন্ধেহে প্রমাণিত হয়েছে।
রাজনৈতিক অপহরণে বাংলাদেশের দক্ষতা যে কোনো আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে কম নয় বলে সবাই স্বীকার করবে।
তবে এদেশের জনগণ সবচেয়ে বেশি অভিভূত এবং আনন্দিত হবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমাদের প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের সাহায্যের অকৃতিম প্রসারিত হাত দেখে। আমাদের প্রতিরক্ষা বা সীমান্তের তো কোন সমস্যা নাইই, এখন থেকে দেখা যাচ্ছে আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সব কিছুই নিরাপদ!
ভাবসাবে মনে হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া জনগণের আর কোনো বিপদ নাই!!! আশা করি আমার বিএনপির বন্ধুরা বিষয়টি ভাল করে অনুধাবন করতে পারবেন!!!!
আমাদের রক্ষা করার জন্য আল্লাহ ছাড়া কেউ আর থাকল না। তবে আমরা ভীত বা ঘাবড়িয়ে যাই নাই। রাত যত অন্ধকার হবে আলোর প্রত্যাশা ততই বাড়বে।
কিন্তু শুধু অন্যকে দোষারোপ করে লাভ হবে না। নিজেদেরকেও সঠিক পথে নিজেদের মত করে হাঁটতে হবে। আমার কাজটা অন্য কেউ এসে করে দিয়ে যাবে না।
মেজর অব. মো. আখতারুজ্জামান
সাবেক সংসদ সদস্য।