ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাবার জন্য দোয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে যা ঘটলো, তাতে হতাশ হয়েছি: আসিফ মাহমুদ আমি কখনই ক্রিকেট খেলা শিখিনি, এখন চেষ্টা করছি: তিশা মাদক-অপকর্মের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগেভাগেই ঢাকায় আসবেন হামজা উপদেষ্টা মাহফুজকে লাঞ্ছিত করায় হাসনাতের ক্ষোভ জনদাবির মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দেওয়ার আচরণ সন্দেহজনক

অধিকার ও বামাকের বক্তব্য বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী : বাংলাদেশ পুলিশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৫১ বার

‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বেসরকারি সংগঠন ‘অধিকার’ এবং ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’ (বামাক) এর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারর্স থেকে আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ সরাসরি ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করছে এবং তাদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সংস্থা দুটির বক্তব্য বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী। যা আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থাকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুলিশ মানুষের জীবন এবং সম্পদ রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। ২০১৪ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছে ১০২ জন পুলিশ সদস্য। যারা পুলিশের বা সাধারণ মানুষের প্রাণ হরণ করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানোর আত্মরক্ষার অধিকার স্বীকৃত রয়েছে বাংলাদেশের আইনে। পুলিশ আত্মরক্ষার সেই অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করছে কিনা, অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে কিনা তা অনুসন্ধান করেন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন নির্বাহী কমিটি। এমনকি সেটা আদালতেও বিচারযোগ্য। আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে পুলিশের ভূমিকা আইনানুগ কি বেআইনি; সেটা বলার এখতিয়ার রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের। জুলাই মাসে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের কোনো ঘটনাকে ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালত বিচারবহির্ভূত বলেননি। আগ বাড়িয়ে ওই এনজিও দুটো বাংলাদেশ পুলিশের ওপর হত্যাকাণ্ডের দায়ভার চাপাচ্ছে। যা পুলিশের কাজকে বিতর্কিত করছে; ভাবমূর্তিকে জনসমক্ষে ক্ষুন্ন করেছে। এটা মানহানিকর এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার অধিকার কোনো এনজিওকে দেয়নি এ দেশের আইন। তাই ওই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে দুটো এনজিওর বক্তব্য এ দেশের আইন এবং আদালতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল। এতে বিদেশের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, বিদেশি বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা নাশকতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (এমএন্ডপিআর) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই দুটি সংগঠন যেভাবে মন্তব্য করছে তা বেআইনি। পুলিশের কাজের আইনগত দিক নিয়ে কথা বলার অধিকার আছে আদালতের। তারা এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার রাখে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’

অধিকার ও বামাকের বক্তব্য বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী : বাংলাদেশ পুলিশ

আপডেট টাইম : ০৯:৩১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০১৫

‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বেসরকারি সংগঠন ‘অধিকার’ এবং ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’ (বামাক) এর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারর্স থেকে আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ সরাসরি ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করছে এবং তাদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সংস্থা দুটির বক্তব্য বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী। যা আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থাকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুলিশ মানুষের জীবন এবং সম্পদ রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। ২০১৪ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছে ১০২ জন পুলিশ সদস্য। যারা পুলিশের বা সাধারণ মানুষের প্রাণ হরণ করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানোর আত্মরক্ষার অধিকার স্বীকৃত রয়েছে বাংলাদেশের আইনে। পুলিশ আত্মরক্ষার সেই অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করছে কিনা, অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে কিনা তা অনুসন্ধান করেন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন নির্বাহী কমিটি। এমনকি সেটা আদালতেও বিচারযোগ্য। আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে পুলিশের ভূমিকা আইনানুগ কি বেআইনি; সেটা বলার এখতিয়ার রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের। জুলাই মাসে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের কোনো ঘটনাকে ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালত বিচারবহির্ভূত বলেননি। আগ বাড়িয়ে ওই এনজিও দুটো বাংলাদেশ পুলিশের ওপর হত্যাকাণ্ডের দায়ভার চাপাচ্ছে। যা পুলিশের কাজকে বিতর্কিত করছে; ভাবমূর্তিকে জনসমক্ষে ক্ষুন্ন করেছে। এটা মানহানিকর এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার অধিকার কোনো এনজিওকে দেয়নি এ দেশের আইন। তাই ওই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে দুটো এনজিওর বক্তব্য এ দেশের আইন এবং আদালতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল। এতে বিদেশের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, বিদেশি বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা নাশকতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (এমএন্ডপিআর) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই দুটি সংগঠন যেভাবে মন্তব্য করছে তা বেআইনি। পুলিশের কাজের আইনগত দিক নিয়ে কথা বলার অধিকার আছে আদালতের। তারা এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার রাখে না।