বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে একই আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
নাশকতার অর্ধশত মামলায় রবিবার সকালে ঢাকার সিএমএম ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির তিন নেতা এম কে আনোয়ার, আমানউল্লাহ আমান ও আব্দুল আওয়াল মিন্টু।
শুনানি শেষে নাশকতার অভিযোগে করা ৫০ মামলার দুটিতে জামিন পেয়েছেন আমানউল্লাহ আমান। কিন্তু আরো ৪৮ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠনো হয়। নথি না পাওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি।
বিএনপির নেতাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এসব তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মোট ৫২ মামলায় তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এসব মামলার মধ্যে দুটি মামলা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার।
আপিল বিভাগের নির্দেশে বিএনপির নেতারা ঢাকার সিএমএম আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই মামলাগুলোর মধ্যে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা রয়েছে পল্টন, শাহবাগ, মিরপুর, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায়। নাশকতার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা করা হয় ঢাকার পল্টন, যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানায়। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগে পল্টন থানায় করা হয় একটি মামলা।