হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংসদের বাইরে থাকা প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে হার্ড লাইনে কথা বলতে শুরু করেছেন। ফলে দলটির নেতাকর্মীরাও চাঙা হয়ে হয়েছে। আগামী ঈদের পর নেতাকর্মীদের মাঠে নামার নির্দেশ দেয়ার পর বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছ্বাসেবক দল বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের কারণে উজ্জীবিত হয়ে সাংগঠনিকভাবেও চাঙা হতে শুরু করেছে দলটি। এমনকি জেলায় জেলায় নতুন কমিটি দেয়া এবং কোন্দল নিরসন থেকে শুরু করে জেলা সফর শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সর্বশেষ মঙ্গলবার পেশাজীবীদের ইফতারে খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এছাড়া অন্য একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ১০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে না। এবার নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং সেখানে দেশের মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।
খালেদা জিয়া শুধু নির্বাচনকে ঘিরেই হার্ড লাইনে কথা বলছেন না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদের বাড়ি উচ্ছেদের ঘটনায় বলেছেন, এক কাপড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হবে।
দলীয় সভানেত্রীর হার্ডলাইনে কথাবার্তা বলায় রাজনৈতিকভাবে চাঙা হয়েছে বিএনপি। দলটির অনেক সহযোগী সংগঠন ভেতরে ভেতরে রাজনৈতিভাবে মাঠ দখলে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মধ্যে কোন্দল থাকা স্বত্বেও বিভিন্ন দলে উপদলে ভাগ হয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এমনকি সেচ্ছ্বাসেবক দলের পক্ষ থেকেও পল্টন ও বিজয়নগর এলকায় কয়েকটি মিছিল করতে দেখা গেছে। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ও যুবদলের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
ঈদের পর নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেয়ার পর সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে বিএনপি। মূলত দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হার্ড লাইনে কথা বলার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।
ইতিমধ্যে, সিলেটের শাহজালাল মাজার জিয়ারত করেন দলের নেতারা। মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার পক্ষে হযরত শাহজালাল মাজারে গিলাফ প্রদান করা হয়। এসময় আগামী নির্বাচনে সিলেটের প্রার্থী এবং প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মেজর (অব.) হাফিজ।
বিএনপির চাঙা হওয়া প্রসঙ্গে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি দলীয় ফোরামে চূড়ান্ত হয়েছে। নেতাকর্মীরা সেই দাবি আদায়ে রাজপথে থাকবে। ইতিমধ্যে সাংগঠনিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। দলের প্রার্থীদের বিষয়েও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন দলের কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় নেতাদের ডেকে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই কাজ করছে বিএনপি। আশা করছি, আগামী দিনে দল আরো বেশি সুসংগঠিত হয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাবে।