ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলশানে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০১৭
  • ৪২৬ বার

রাজধানীর গুলশান এলাকায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অহিদুজ্জামান মিয়া মিন্টু (৩৫) নামে এক যুবক। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, শনিবার সকালে গুলশান এলাকার ৬৮ নম্বর রোড়ের ১০ নম্বর বাড়ির তিন তলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

তিনি জানান, নিহতের নাম রানী বেগম (২৮)। তিনি স্বামী মিন্টুর সঙ্গে রাজধানীর মহাখালী এলাকার খ্রিস্টান পাড়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এটা রানীর দ্বিতীয় বিবাহ। তার দুটি সন্তান রয়েছে। রানী গুলশানের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

ওসি আরও জানান, মিন্টু গুলশান ৬৮ নম্বর রোড়ের ১১৬ নম্বর বাড়ির মালিকের গাড়িচালক। এ সুবাদে প্রতিদিন স্ত্রীকে ওই বাড়িতে দিয়ে মিন্টু তার কাজে চলে যেতেন।

মিন্টুর বরাত দিয়ে ওসি জানান, স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সকালে বাসায় কেউ ছিল না। তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রান্না ঘরে চাকু দিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। মিন্টুর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায়। তার বাবা মৃত তোফাজ্জল হোসেন। মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গুলশানে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

আপডেট টাইম : ০৫:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০১৭

রাজধানীর গুলশান এলাকায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অহিদুজ্জামান মিয়া মিন্টু (৩৫) নামে এক যুবক। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, শনিবার সকালে গুলশান এলাকার ৬৮ নম্বর রোড়ের ১০ নম্বর বাড়ির তিন তলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

তিনি জানান, নিহতের নাম রানী বেগম (২৮)। তিনি স্বামী মিন্টুর সঙ্গে রাজধানীর মহাখালী এলাকার খ্রিস্টান পাড়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এটা রানীর দ্বিতীয় বিবাহ। তার দুটি সন্তান রয়েছে। রানী গুলশানের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

ওসি আরও জানান, মিন্টু গুলশান ৬৮ নম্বর রোড়ের ১১৬ নম্বর বাড়ির মালিকের গাড়িচালক। এ সুবাদে প্রতিদিন স্ত্রীকে ওই বাড়িতে দিয়ে মিন্টু তার কাজে চলে যেতেন।

মিন্টুর বরাত দিয়ে ওসি জানান, স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সকালে বাসায় কেউ ছিল না। তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রান্না ঘরে চাকু দিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। মিন্টুর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায়। তার বাবা মৃত তোফাজ্জল হোসেন। মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।