ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন খাবেন আখের গুড়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ৭৫১ বার

আখের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আর শর্করা থাকে। এ জন্য ডায়রিয়ার রোগীকে আখের গুড়ের স্যালাইন খাওয়ানো হয়। কারণ শর্করা শরীরের পানিটাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

যারা মনে করেন মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই ওজন বাড়ে তারা কোনও চিন্তাভাবনা ছাড়াই খেতে পারেন গুড়। কারণ এটি খেলে ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনা তো নেই-ই, উপরন্তু গুড়ে থাকা পটাসিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
গুড় খেলে এনার্জি পাবেন চটজলদি।
ঠাণ্ডা লাগা কিংবা সর্দিতে কুসুম গরম পানিতে গুঁড় মিশিয়ে পান করতে পারেন। গরম চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে গুড়।
লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে গুড়।
গরম কালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে গুড়ের শরবতের বিকল্প নেই।
নিয়মিত গুড় খেলে রক্তশূন্যতায় ভুগবেন না।
গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।
গুড়ে রয়েছে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তবে যাঁদের ওবেসিটি আছে, তাঁদের আখের গুড় না খাওয়াই ভালো।

রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আখের গুড়
খাঁটি ও ভালো মানের গুড় যেমন উপকারী তেমনি ভেজাল গুড় তার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। কিছু কিছু ব্যাবসায়ী অতি লোভের আশায় কম দামের পুরোনো আখের নরম চিটা গুড়, চিনি, ময়দা, কাপড়ের রং, ফিটকিরি, চুন ও হাইড্রোজ দিয়ে গুড় তৈরি করে বিক্রি করছে।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গ্যাস্ট্রিক ও পেটের পীড়া নিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক রোগী হাসপাতালে আসেন।

গুড় যেমন শরীরের ক্যালরি এবং শর্করা ঘাটতি কমায় তেমনি ভেজাল গুড় বিপদের কারন হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং গুড় অবশ্যই খাবেন তবে খাঁটি গুড়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কেন খাবেন আখের গুড়

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

আখের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আর শর্করা থাকে। এ জন্য ডায়রিয়ার রোগীকে আখের গুড়ের স্যালাইন খাওয়ানো হয়। কারণ শর্করা শরীরের পানিটাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

যারা মনে করেন মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই ওজন বাড়ে তারা কোনও চিন্তাভাবনা ছাড়াই খেতে পারেন গুড়। কারণ এটি খেলে ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনা তো নেই-ই, উপরন্তু গুড়ে থাকা পটাসিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
গুড় খেলে এনার্জি পাবেন চটজলদি।
ঠাণ্ডা লাগা কিংবা সর্দিতে কুসুম গরম পানিতে গুঁড় মিশিয়ে পান করতে পারেন। গরম চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে গুড়।
লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে গুড়।
গরম কালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে গুড়ের শরবতের বিকল্প নেই।
নিয়মিত গুড় খেলে রক্তশূন্যতায় ভুগবেন না।
গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।
গুড়ে রয়েছে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তবে যাঁদের ওবেসিটি আছে, তাঁদের আখের গুড় না খাওয়াই ভালো।

রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আখের গুড়
খাঁটি ও ভালো মানের গুড় যেমন উপকারী তেমনি ভেজাল গুড় তার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। কিছু কিছু ব্যাবসায়ী অতি লোভের আশায় কম দামের পুরোনো আখের নরম চিটা গুড়, চিনি, ময়দা, কাপড়ের রং, ফিটকিরি, চুন ও হাইড্রোজ দিয়ে গুড় তৈরি করে বিক্রি করছে।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গ্যাস্ট্রিক ও পেটের পীড়া নিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক রোগী হাসপাতালে আসেন।

গুড় যেমন শরীরের ক্যালরি এবং শর্করা ঘাটতি কমায় তেমনি ভেজাল গুড় বিপদের কারন হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং গুড় অবশ্যই খাবেন তবে খাঁটি গুড়।