ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রথম ‘ওয়াই সেতু’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০১৭
  • ৩৪৭ বার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ‘ওয়াই সেতু’ এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সেতুটি চালু হলে বদলে যাবে বাঞ্ছারামপুর এবং কুমিল্লার মুরাদনগর ও হোমনা এলাকার চেহারা। ওয়াই আকৃতির কারণে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ওয়াই সেতু’। ইতোমধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নাভানা বিল্ডার্সের আওতায় ২০১১ সালের ১৬ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ১০ মিটার। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে মূল সেতু ৮০ কোটি টাকা। সংযোগ সড়কের ব্যয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। জমি অধিগ্রহণ সাড়ে ৯ কোটি টাকা। সেতুতে পাইল হয়েছে ৩০২টি। তিতাস নদীর ওপর নির্মিত এ সেতু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও ব্যবহূত হবে বলে জানায় এলজিইডি। সেতুটি নির্মাণের ফলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ খুব কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে। তাদের গৌরীপুর হয়ে ঢাকা যেতে হবে না। সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম জানান, ওয়াই সেতু নির্মাণের ফলে বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলার জনগণের যোগাযোগ আরও সহজ হয়েছে। এতে করে বাঞ্ছারামপুর এলাকায় উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, ওয়াই সেতু নির্মাণের ফলে তিন থানার জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। কৃষি অর্থনীতিকে গতিশীল ও পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে এই সেতু। স্থানীয় সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম সকালের খবরকে বলেন, এই সেতুটি বিশ্বের সর্ববৃহত্ ওয়াই সেতু। সেতুটি বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও হোমনা অঞ্চলের জনগণের কৃষি অর্থনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবে বাঞ্ছারামপুরকে ব্যবহার করা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও হোমনার জনগণ কৃতজ্ঞ। অচিরেই প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে উদ্বোধন করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশের প্রথম ‘ওয়াই সেতু’

আপডেট টাইম : ১২:১১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ‘ওয়াই সেতু’ এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সেতুটি চালু হলে বদলে যাবে বাঞ্ছারামপুর এবং কুমিল্লার মুরাদনগর ও হোমনা এলাকার চেহারা। ওয়াই আকৃতির কারণে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ওয়াই সেতু’। ইতোমধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নাভানা বিল্ডার্সের আওতায় ২০১১ সালের ১৬ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ১০ মিটার। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে মূল সেতু ৮০ কোটি টাকা। সংযোগ সড়কের ব্যয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। জমি অধিগ্রহণ সাড়ে ৯ কোটি টাকা। সেতুতে পাইল হয়েছে ৩০২টি। তিতাস নদীর ওপর নির্মিত এ সেতু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও ব্যবহূত হবে বলে জানায় এলজিইডি। সেতুটি নির্মাণের ফলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ খুব কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে। তাদের গৌরীপুর হয়ে ঢাকা যেতে হবে না। সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম জানান, ওয়াই সেতু নির্মাণের ফলে বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলার জনগণের যোগাযোগ আরও সহজ হয়েছে। এতে করে বাঞ্ছারামপুর এলাকায় উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, ওয়াই সেতু নির্মাণের ফলে তিন থানার জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। কৃষি অর্থনীতিকে গতিশীল ও পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে এই সেতু। স্থানীয় সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম সকালের খবরকে বলেন, এই সেতুটি বিশ্বের সর্ববৃহত্ ওয়াই সেতু। সেতুটি বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও হোমনা অঞ্চলের জনগণের কৃষি অর্থনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবে বাঞ্ছারামপুরকে ব্যবহার করা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও হোমনার জনগণ কৃতজ্ঞ। অচিরেই প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে উদ্বোধন করা হবে।