ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন করে আর যেন কোন খেলাপী ঋণ সৃষ্টি না হয় : গভর্নর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০১৫
  • ২৯৯ বার
নতুন করে আর যেন কোন খেলাপী ঋণ সৃষ্টি না হয়— সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। রবিবার ২০১৪ সালে দেশের অর্থনৈতিক এবং আর্থিক খাতের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে ফাইনান্সিয়াল স্টাবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ২০১৪ সালে আর্থিক খাতে সুশাসনের অভাব ছিল। এ সময়ে একদিকে রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও জিডিপির সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি যেমন ছিল, তেমনি ছিল খেলাপী ঋণেও উর্ধ্বগতি। এসবের প্রভাবে কমেছে ব্যাংকগুলোর মুনাফা এমন তথ্য উঠে আসে রিপোর্টে।
এতে দেশের শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এবং ধারাবাহিক ৬% উপরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরা হয়। এসবের প্রক্ষিতে এ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল বলে দাবি করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
তবে সুখকর চিত্র ছিল না দেশের ব্যাংকিং খাতে— উল্লেখ করে ঋণ বিতরণ করতে না পারে অলস অর্থের স্তুপ জমতে জমতে এখন ঋণ-আমানতের অনুপাত ৮১% থেকে ৭১% নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি।
খেলাপী ঋণের পরিমান ৮.৯ থেকে ৯.৭ পৌঁছেছে— যা দেশের আর্থিক খাতের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন আতিউর রহমান।
একদিকে, খেলাপী ঋণের প্রবৃদ্ধি অন্যদিকে বিনিয়োগের করতে না পেরে জমছে অলস অর্থ— এ দুইয়ের প্রভাবে কমেছে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সুর চৌধুরী।
এসবের পরেও ব্যাংকের উপর মানুষের আস্থা অটুট আছে বলেই মনে করছেন আতিউর রহমান।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নতুন করে আর যেন কোন খেলাপী ঋণ সৃষ্টি না হয় : গভর্নর

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০১৫
নতুন করে আর যেন কোন খেলাপী ঋণ সৃষ্টি না হয়— সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। রবিবার ২০১৪ সালে দেশের অর্থনৈতিক এবং আর্থিক খাতের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে ফাইনান্সিয়াল স্টাবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ২০১৪ সালে আর্থিক খাতে সুশাসনের অভাব ছিল। এ সময়ে একদিকে রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও জিডিপির সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি যেমন ছিল, তেমনি ছিল খেলাপী ঋণেও উর্ধ্বগতি। এসবের প্রভাবে কমেছে ব্যাংকগুলোর মুনাফা এমন তথ্য উঠে আসে রিপোর্টে।
এতে দেশের শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এবং ধারাবাহিক ৬% উপরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরা হয়। এসবের প্রক্ষিতে এ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল বলে দাবি করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
তবে সুখকর চিত্র ছিল না দেশের ব্যাংকিং খাতে— উল্লেখ করে ঋণ বিতরণ করতে না পারে অলস অর্থের স্তুপ জমতে জমতে এখন ঋণ-আমানতের অনুপাত ৮১% থেকে ৭১% নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি।
খেলাপী ঋণের পরিমান ৮.৯ থেকে ৯.৭ পৌঁছেছে— যা দেশের আর্থিক খাতের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন আতিউর রহমান।
একদিকে, খেলাপী ঋণের প্রবৃদ্ধি অন্যদিকে বিনিয়োগের করতে না পেরে জমছে অলস অর্থ— এ দুইয়ের প্রভাবে কমেছে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সুর চৌধুরী।
এসবের পরেও ব্যাংকের উপর মানুষের আস্থা অটুট আছে বলেই মনে করছেন আতিউর রহমান।