ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগের সম্মেলন প্যানেল নির্ধারণে তৎপরতা, সম্ভাবনা যাদে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০১৫
  • ৪৫৮ বার

সমঝোতার সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি প্রার্থীদের বয়সসীমা ২৯ বছর এবং নিয়মিত ছাত্ররাই নেতৃত্বে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সব প্রশ্নের অবসান হল।

প্রার্থিতার বয়স বাড়তে পারে, এমন আশায় যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তাদের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল। ফলে ছিটকে পড়লেন অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা সভাপতি পদে ৬৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪২ জন। তবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের আগে রোববার সকালে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় দেওয়া হবে। প্রার্থিতা  প্রত্যাহার শেষে যারা অবশিষ্ট থাকবেন তাদের মধ্য থেকেই ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন ১০৯টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের কাউন্সিলররা। প্রতিটি ইউনিটে ভোটার সংখ্যা ২৫ জন।

তবে বর্তমান ও সাবেক নেতাদের আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়ে গঠিত প্যানেলের বাইরে থাকা অধিকাংশ প্রার্থীই সাধারণত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে থাকেন।

এদিকে ইতোমধ্যেই প্যানেল ঠিক করতে তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতারা সাবেকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ বৈঠক শেষেই স্পষ্ট হতে পারে কারা শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন।

সম্ভাব্য প্যানেল
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য প্যানেল হতে পারে দুটি। একটি বর্তমান সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের প্যানেল। অপরটি সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের প্যানেল।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং মাদারীপুরের সন্তান সাইফুর রহমান সোহাগ, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক একই জেলার গোলাম রাব্বানী এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং পাবনার শহিদুল ইসলাম শাহেদ।

নাজমুল আলমের অনুসারীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন এবং উপ-ছাত্র বৃত্তি ‍বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ বাপ্পি।

অপর দিকে মাহমুদ হাসান রিপন এবং তার অনুসারীরা শামসুল কবির রাহাতকে প্রার্থী করতে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। যদিও ২৮ তম সম্মেলনের নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

রাহাতকে প্রার্থী না করতে পারলে বিকল্প প্যানেলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব হাসান পলাম এবং ঢাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএইচএম শাহ আলম সাদ্দামের।

অপরদিকে শেষ মুহূর্তে প্যানেলে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন এবং ঢাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল-আমিন আহমেদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ছাত্রলীগের সম্মেলন প্যানেল নির্ধারণে তৎপরতা, সম্ভাবনা যাদে

আপডেট টাইম : ০৫:২২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০১৫

সমঝোতার সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি প্রার্থীদের বয়সসীমা ২৯ বছর এবং নিয়মিত ছাত্ররাই নেতৃত্বে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সব প্রশ্নের অবসান হল।

প্রার্থিতার বয়স বাড়তে পারে, এমন আশায় যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তাদের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল। ফলে ছিটকে পড়লেন অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা সভাপতি পদে ৬৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪২ জন। তবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের আগে রোববার সকালে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় দেওয়া হবে। প্রার্থিতা  প্রত্যাহার শেষে যারা অবশিষ্ট থাকবেন তাদের মধ্য থেকেই ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন ১০৯টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের কাউন্সিলররা। প্রতিটি ইউনিটে ভোটার সংখ্যা ২৫ জন।

তবে বর্তমান ও সাবেক নেতাদের আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়ে গঠিত প্যানেলের বাইরে থাকা অধিকাংশ প্রার্থীই সাধারণত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে থাকেন।

এদিকে ইতোমধ্যেই প্যানেল ঠিক করতে তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতারা সাবেকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ বৈঠক শেষেই স্পষ্ট হতে পারে কারা শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন।

সম্ভাব্য প্যানেল
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য প্যানেল হতে পারে দুটি। একটি বর্তমান সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের প্যানেল। অপরটি সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের প্যানেল।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং মাদারীপুরের সন্তান সাইফুর রহমান সোহাগ, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক একই জেলার গোলাম রাব্বানী এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং পাবনার শহিদুল ইসলাম শাহেদ।

নাজমুল আলমের অনুসারীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন এবং উপ-ছাত্র বৃত্তি ‍বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ বাপ্পি।

অপর দিকে মাহমুদ হাসান রিপন এবং তার অনুসারীরা শামসুল কবির রাহাতকে প্রার্থী করতে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। যদিও ২৮ তম সম্মেলনের নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

রাহাতকে প্রার্থী না করতে পারলে বিকল্প প্যানেলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব হাসান পলাম এবং ঢাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএইচএম শাহ আলম সাদ্দামের।

অপরদিকে শেষ মুহূর্তে প্যানেলে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন এবং ঢাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল-আমিন আহমেদ।