বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হাওরের কৃষকদের ঘরে ধান না ওঠা পর্যন্ত সরকার তাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, হাওরের লোকজনকে যত ধরণের সাহায্য সহযোগিতা করা দরকার, সরকার তা করবে। আগামী বোরো ফসল উঠার আগ পর্যন্ত, সরকার তাদের পাশে থাকবে।
“আপনাদের যতদিন পর্যন্ত কষ্ট লাঘব না হবে, আপনাদের ঘরে যতদিন ধান না উঠবে ততদিন পর্যন্ত খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব।”
অসময়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তলিয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
হাওরে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার কৃষক-ক্ষেতমজুর সমিতির নেতাদের দাবি কথা উল্লেখ করে মায়া বলেন, হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার প্রয়োজন নেই। তা আর প্রয়োজন হবে না।
“অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে দেশে খাদ্য ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ক্ষণিকের এ দুর্যোগ দ্রুত কাটিয়ে উঠবে এখানকার মানুষ।”
এর আগে মন্ত্রী স্পিডবোট যোগে মিঠামইন উপজেলার আতপাশা এবং ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ও মৃগা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের এক ফাঁকে আতপাশার আবদুল গনি ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত ১০৭ জন কৃষকের হাতে ২০ কেজি করে চাল তুলে দেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
হাওরে যেসব কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে তাদের ঋণ মওকুফে সরকারকে সুপারিশ করা হবে বলে রোববার সুনামগঞ্জে জানিয়েছিলৈন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।