ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জেদ্দা কনস্যুলেটের উদ্যোগ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার: আইসিটি সচিব  অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ  হয়রানী মূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গিকারাবব্ধ: সিনিয়র সচিব অভিনেত্রী শাওন ও ডিবি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি জালিয়াতি বন্ধে পাঠ্যবইয়ের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ হচ্ছে

পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষে নীরব বিপ্লব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০১৫
  • ৫১০ বার

পার্বত্য অঞ্চল ও সিলেটের পর দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। সমতল ভূমিতে চা চাষ নিরবে বিপ্লব ঘটিয়েছে। চায়ের মান আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় ইতিমধ্যে পঞ্চগড়ের চা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে।

 

খুব বেশি দিনের কথা নয়। পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুঁলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার কয়েক হাজার জমি পতিত পড়ে থাকত। ব্যবহৃত হত গোচারণ ভুমি হিসেবে। সেই পতিত জমিতে চাষ হচ্ছে এখন উন্নত মানের চা।

 

একবার চায়ের চারা রোপণ করে ৩০বছর ধরে এর সুফল পাওয়া যাবে। তাই চাষীরা অন্যান্য আবাদ না করে চা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। দিনদিন বাড়ছে চা চাষের পরিধি। এই চা প্রক্রিয়াজাত করতে বেসরকারিভাবে ছয়টি ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়েছে। ফ্যাক্টরি মালিকরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে চা পাতা ক্রয় করায় নগদ অর্থ পাচ্ছেন চাষিরা।

 

স্থানীয় চা বোর্ড ক্ষুদ্র চা চাষি ও বাগান মালিকদের ব্যাংক ঋণ, কারিগরী প্রশিক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতা করায় চাষিরা চা চাষে আস্থা পেয়েছেন। এ ছাড়া চা বোর্ডের ‘স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট প্লান ফর টি ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ ভিশন-২০২১’ প্রকপ্প গ্রহণ করায় চাষিদের চা উৎপাদনের আগ্রহ বেড়েছে।

 

সোনাপাতিলা গ্রামের স্মল হোল্ডার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুই একর থেকে বর্তমানে ৫০ একর জমিতে চা আবাদ করছি। ভবিষৎতে এর পরিধি আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। চা চাষ অনেক লাভজনক ফসল।’ একই কথা বললেন, ক্ষুদ্র চা চাষি নোমান ও বাবুল মাস্টার। তারা জানান, চা চাষ লাভজনক হওয়ায় তারা চা চাষ আরো সম্প্রসারণ করেছেন।

 

তেঁতুলিয়া চা বাগানের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, ‘চা-চাষ করে লাভবান হওয়া আরো জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণ করছি।’

 

পঞ্চগড় চা বোর্ডের সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা জায়েদ ইমাম সিদ্দিকী জানান, জেলায় ২০টি টি এস্টেট, ১৫টি মাঝারি ও পাঁচশ ক্ষুদ্র চা বাগান মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার চারশ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে।

 

এসব বাগান থেকে ২০১৪ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৭৬৭ কেজি টি উৎপাদন হয়েছে। চা চাষ লাভজনক হওয়ায় চা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চলতি বছর প্রায় ১৬ লাখ কেজি চা উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল

পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষে নীরব বিপ্লব

আপডেট টাইম : ০৫:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০১৫

পার্বত্য অঞ্চল ও সিলেটের পর দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। সমতল ভূমিতে চা চাষ নিরবে বিপ্লব ঘটিয়েছে। চায়ের মান আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় ইতিমধ্যে পঞ্চগড়ের চা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে।

 

খুব বেশি দিনের কথা নয়। পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুঁলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার কয়েক হাজার জমি পতিত পড়ে থাকত। ব্যবহৃত হত গোচারণ ভুমি হিসেবে। সেই পতিত জমিতে চাষ হচ্ছে এখন উন্নত মানের চা।

 

একবার চায়ের চারা রোপণ করে ৩০বছর ধরে এর সুফল পাওয়া যাবে। তাই চাষীরা অন্যান্য আবাদ না করে চা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। দিনদিন বাড়ছে চা চাষের পরিধি। এই চা প্রক্রিয়াজাত করতে বেসরকারিভাবে ছয়টি ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়েছে। ফ্যাক্টরি মালিকরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে চা পাতা ক্রয় করায় নগদ অর্থ পাচ্ছেন চাষিরা।

 

স্থানীয় চা বোর্ড ক্ষুদ্র চা চাষি ও বাগান মালিকদের ব্যাংক ঋণ, কারিগরী প্রশিক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতা করায় চাষিরা চা চাষে আস্থা পেয়েছেন। এ ছাড়া চা বোর্ডের ‘স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট প্লান ফর টি ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ ভিশন-২০২১’ প্রকপ্প গ্রহণ করায় চাষিদের চা উৎপাদনের আগ্রহ বেড়েছে।

 

সোনাপাতিলা গ্রামের স্মল হোল্ডার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুই একর থেকে বর্তমানে ৫০ একর জমিতে চা আবাদ করছি। ভবিষৎতে এর পরিধি আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। চা চাষ অনেক লাভজনক ফসল।’ একই কথা বললেন, ক্ষুদ্র চা চাষি নোমান ও বাবুল মাস্টার। তারা জানান, চা চাষ লাভজনক হওয়ায় তারা চা চাষ আরো সম্প্রসারণ করেছেন।

 

তেঁতুলিয়া চা বাগানের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, ‘চা-চাষ করে লাভবান হওয়া আরো জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণ করছি।’

 

পঞ্চগড় চা বোর্ডের সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা জায়েদ ইমাম সিদ্দিকী জানান, জেলায় ২০টি টি এস্টেট, ১৫টি মাঝারি ও পাঁচশ ক্ষুদ্র চা বাগান মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার চারশ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে।

 

এসব বাগান থেকে ২০১৪ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৭৬৭ কেজি টি উৎপাদন হয়েছে। চা চাষ লাভজনক হওয়ায় চা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চলতি বছর প্রায় ১৬ লাখ কেজি চা উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা।