স্বপ্ন উচ্চশিক্ষার৷ বাধ সেধেছে আর্থিক অবস্থা৷ এ ঘটনা ভারতে বিরল কিছু নয়৷ তার মধ্যেই দেশটির কর্নাটকের মুসলিম ছাত্রী সারার ঘটনা খানিকটা ব্যতিক্রমী৷ কেননা তার কাহিনীর শেষটুকু লিখলেন দেশটির স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কী হয়েছিল তার ক্ষেত্রে?
এমবিএ ছাত্রী সারা পড়াশোনার খরচ চালাতে লোন চেয়ে এক ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ কিন্তু ব্যাঙ্ক লোন দিতে অস্বীকার করে৷ এমনকী মেয়েটির পরীক্ষায় ভাল নম্বর
পাওয়াতেও কাজ হয়নি৷ বরং জানতে চাওয়া হয়েছিল, কী করে এই লোন শোধ হবে? কেননা ছাত্রীটির বাবা একটি চিনির কলের শ্রমিক৷
এই জবাব পেয়ে অবশ্য ভেঙে পড়েননি ওই ছাত্রী৷ বরং তিনি এমন কাজ করেছিলেন, যা সচরাচর কেউ ভাবতেও পারবেন না৷ চিঠি লিখেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে৷ হাজারও কাজে ব্যস্ত মোদি কি তার চিঠি পড়বেন? কোনও সুরাহা হবে? অনেকেই এ বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন৷ কিন্তু স্থির বিশ্বাস ছিল সারার৷ সে বিশ্বাসের মর্যাদাও পেয়েছেন তিনি৷
ছাত্রীর চিঠি পাওয়া মাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ মাত্র দশ দিনের মধ্যে অন্য একটি ব্যাঙ্ক থেকে লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়৷ ফলে পড়াশোনা করতে আর কোনও অসুবিধা নেই ছাত্রীর৷
স্বভাবতই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই পদক্ষেপে অত্যন্ত খুশি ছাত্রীটি৷ জানাচ্ছেন, কোনও সুরাহা যে হবে, তা তিনি জানতেন৷ কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি সারা৷