একাদশ শ্রেণীর ভর্তিতে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে মেধাক্রম মানা হচ্ছে না। ‘আগে আসলে আগে ভর্তি’ এ প্রথা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম চলছে এ কলেজে। অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির ফরমের জন্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে পাঁচ গুণ টাকা রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম দিন সোমবার মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। পরে শিক্ষাবোর্ড থেকে মেধাক্রমের তালিকা পাওয়া গেলেও ওই দিন দুপুর পর্যন্ত তা আনা হয়নি। নগরীর অন্যান্য কলেজে সকাল থেকে ভর্তি শুরু হলেও বিপাকে পড়েন সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তির জন্য আসা শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে অবহিত করার পর তার তাগিদে কলেজ কর্তৃপক্ষ মেধাক্রমের তালিকা নিয়ে আসে। কিন্তু ব্যাংকের সময় পার হয়ে যাওয়ায় টাকা জমা দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য কলেজে উপস্থিত হতে থাকেন। ফরম পূরণ ও টাকা জমা নেওয়ার জন্য ব্যাংকের স্টাফ কম থাকায় দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।
বাউফল থেকে আসা তানিয়া আক্তার বলেন, মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। ফলে শ্রেণী কক্ষে তাদের রোল নম্বরও পিছিয়ে যাচ্ছে। বরিশাল নগরীর শিক্ষার্থীরা আগে এসে লাইনে দাঁড়ানোয় এমনটি হচ্ছে। এরপর দুপুর ২টা পর্যন্ত দু’পশলা বৃষ্টি হলে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা পড়েন আরও বিপাকে।
সেলিম খান এসেছেন বিজ্ঞান বিভাগে তার মেয়েকে ভর্তি করাতে। ফরমের মূল্য ৪৩ টাকা এবং ওই টাকার রশিদ দিলেও তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২৫০ টাকা। নগরীর অন্যান্য কলেজে ফরম বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হলেও সরকারি মহিলা কলেজে রাখা হচ্ছে বাড়তি টাকা। ফলে এক হাজার ৫০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি প্রায় দুই লাখ ১৭ হাজার ৩৫০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, অনলাইন ও অফিস খরচের জন্য ২৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। নিয়মের মধ্যেই এটি করা হচ্ছে।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হতো। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।